সময়-সিন্ধুর অগণন ঢেউয়ে,
ঘুমিয়ে আছে প্রাচীন এক ক্যালিপ্রথ—
নবযুগের শব্দমালা বুনতে শেখা নদী,
যার নীলাভ ঢেউয়ের মাঝে চূর্ণ হল মানব ইতিহাস।
ট্রিপলিস্ক মেঘ ঝুলছে শূন্যে,
বাহিত করছে স্মৃতির পুঞ্জিকা—
যেখানে চিরন্তন প্রণয়ের আকাঙ্ক্ষা
মিশে গেছে লৌহকালের ধ্বংসস্তূপে।
তুমি কি শুনতে পাও?
প্রতিটি হৃদস্পন্দন নিউরোকাল্পরা শব্দ তুলে,
যেখানে অতীত ছুঁয়ে যায় ভবিষ্যৎকে।
একটি মুক্ত মানুষের প্রেম—
চিরকালই বিপন্ন,
তবু তার নভরাগপুষ্প সব দিক আলো করে।
নক্ষত্রের পথ ধরে,
অথবা ডিজিট্রাক্স-এর ডানায় ভর করে—
প্রযুক্তির স্ফুলিঙ্গে জ্বলে উঠুক পৃথিবীর নতুন গান।
এই গান চিৎকার করে বলে,
প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার যুগলবন্দী,
বায়োসিনথিয়া বুনছে নতুন বাস্তুতন্ত্র,
যেখানে অরণ্যের ছায়া আর কার্বন-চক্রের খেলা।
তবু প্রেম, হে প্রেম,
তুমি কি ইলেকট্রোফ্লেয়ার হয়ে যাও নাকি,
নির্বাপিত অ্যান্টিলুমিনসেন্সে মিশে যাও?
তোমার সৌন্দর্যের অভিধানে নতুন শব্দ লিখি:
মাইক্রোসিল্ক-মাধুর্য—
যেখানে লিপ্ত হয় মানবিকতা আর প্রযুক্তির সংবেদন।
এখানে অতীত কাঁদে,
ভবিষ্যৎ হাসে কাঁচের দেয়ালে।
এই সময় এক সংযোগ—
মানুষের ছায়া আর মাটির শিকড়ের।
তবু, ক্যালিপ্রথের ঘুম ভাঙবে,
এবং একদিন সব প্রেম
নিরাপদ হবে না, বরং শাশ্বত হবে।
এখন আমরা দাঁড়িয়ে আছি—
প্রেম, প্রযুক্তি, প্রকৃতির মিলনস্থলে।
আমাদের কান্না, আমাদের হাসি,
একটি মুক্ত মানুষের প্রেমের অশ্রুস্নাত রূপ,
যেখানে সময় শুধু নয়, অস্তিত্বও ধ্রুবক।