খণ্ডিত আলো,
আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে বাষ্পের পায়ে,
অথবা ছায়ার অতলে হারিয়ে যায়,
রক্তিম দুপুরের অন্ধকারে;
দেখা যায়, এক দোলাচলে মিলিয়ে যায়
লাল সিগ্রেটের অগ্নিশিখা,
শ্বাসে আটকে যায় শূন্যতার শব্দ।
প্রেম এক অদ্ভুত মুদ্রা,
যে মুদ্রা খেলে না কোনো খিলাড়ির হাতে,
অথবা খালি হাতের রেখায় চিহ্নিত হয়।
অথবা,
মুখে আসা এক বিরহের মুখাবয়ব।
ধুলো উড়ায় না,
কিন্তু এক এক করে উড়িয়ে নেয় এক জীবনের শেষে রং।
তারপর—প্রতিটা শব্দই ক্রমশ সাদা হয়ে যায়,
মিলিয়ে যায় চুপে চুপে।
মাথার উপরেই প্রলয়ের আকাশ,
কিন্তু বুকের ভেতরও অদৃশ্য আকাশের শব্দ।
ছোঁয়ার মতো না হলেও কিছু যায় নেমে—
তখন ছন্দ মিলিয়ে চলে চুম্বনের অসীম অসীমতা।
কিন্তু, আচ্ছা—এই মাটির নিচে,
দুজনের ভূমিকায় আবারও অদৃশ্য কিছু—
শব্দের অক্ষরে আছড়ে পড়ছে বাস্তবের মুখ।
কী অদ্ভুত বৃষ্টিপাত!
যে বৃষ্টির নৃত্য এক সঙ্গীতের অসমাপ্ত ধ্বনি,
ফুলের পাপড়ি ছেঁড়ে যায় প্রতিটি কান্না,
এমন কি শব্দ—
চলতে থাকা পথে অদৃশ্য হয়ে যায়!
আশা যে আসলে অনেকদিন ধরে ছিন্ন।
তবুও, অনুপ্রাণিত আছি—
গভীর অভ্যন্তরে সে বালু,
তবে বালি কখনো বাস্তব হয় না,
শুধু জল পড়ে...
এই বালুকাবেলায় জীবনের সিগন্যালের ভঙ্গি।
তিনটে মেঘের মাঝে,
হয়তো ভেসে যায় এক জীবন—
অথবা ভেসে যায় মনভাঙা তারিখ।
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে,
মাঝে মাঝে পৃথিবীর ছন্দ বদলায়,
অথবা বদলায় সেই ছন্দের মৃত ইশারা!
আর, এই লবণাক্ত রাতের মধ্যে—
ঝরে পড়ে এক খণ্ড চাঁদ,
বাকি সবটুকু অন্ধকার;
শুধু তার ছায়া টেনে নেয় এক নতুন শূন্যতা,
একা থাকায় মেঘের ধোঁয়া।