ধূলিমলিন পৃথিবীর বিষণ্ণতা টেনে আনছে অস্তিত্বের প্রান্তে,
যেখানে ঘূর্ণির মতো ঘুরে মরে গেঁথে থাকা শৃগালের স্বপ্ন—
তীব্র ক্ষুধা আর ছিন্নমলিনতার নেশায় অন্ধকারের ডাকে,
একটি আধার সুরের মতো হাহাকার ছুঁয়ে যায় শূন্যতাকে।
নির্জনতার নিঃশব্দ সঙ্গীত রচনা করে কর্পূরের আগুনে,
যেখানে শব্দেরা স্ফুলিঙ্গ হয়ে হারিয়ে যায় কোনো রঙিন ধ্বংসে।
মাংসের টুকরোর মতো লোভের হাটে দাঁড়িয়ে,
মানুষের হৃদয় ছায়াবৃত্তিতে বন্দী—
সেখানে কবিতা খোঁজে মুক্তির পথ,
জলাভূমির মতো গিলতে চায় অশ্রুত সত্য।
সমাজের নড়বড়ে পিলারের তলায়,
অপেক্ষা করে বাংলার সেই শুদ্ধতম আত্মা—
যে নিজেরই অস্তিত্বকে হারিয়ে খুঁজছে মহাসাগরের গভীরতা।
তার ছিন্নপত্রে লেখা রঙিন শব্দেরা উড়ে যায় ঝড়ে,
বাতাসে গুঞ্জন তুলে, রাত্রির নিস্তব্ধতায়।
তুমি কি কবি?
তোমার কলমে কি পাথরের ঘামের লবণ জমে?
তুমি কি স্রোতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
নির্মাণ করবে এক নতুন স্রোত,
যেখানে মানুষ আর শৃগালের মাঝে থাকবে না কোনো প্রাচীর?
ধ্বংসস্তূপের গহীনে যদি জাগে জীবন,
সেই উষ্ণতা দিয়ে জন্ম নেবে এক বন্য ফুল।
কবিতা হবে তার নিশ্বাস,
আর প্রতিটি ছন্দে ফুটবে
অন্য এক বাংলা।