ঝরা পাতার ভাষায় লিখি—
অন্ধকারে জোনাকিরা যেন নক্ষত্রের ব্যাকরণ;
তবুও তুমি পড়ো না,
তবুও তুমি শোনো না।

একটি মেয়ে প্রতিদিন সূর্যোদয় বুনে,
তার হাতের তালুতে অঙ্কিত হয় অদৃশ্য গ্রহণ;
কেউ বলে সে আলো, কেউ বলে সে ছায়া—
আমি বলি, সে তো স্বপ্নের ভাঙা কাঁচে লেখা এক অক্ষর!

স্বামী নামক এক পাখি
নিজের ডানায় আগুন জ্বেলে বলে—
"তোমার ভালোবাসা কি নদীর স্রোত,
না মরুভূমির মরীচিকা?"
স্ত্রী হাসে,
তার চোখে জমাট বাঁধে শিশিরের দর্শন।

সন্তানেরা তার রক্তে লেখে অমর কবিতা,
আর স্বামী?
সে তো শুধু এক ফাঁকা পাতার শব্দ,
যেখানে প্রতিটি শব্দের অর্থ
অন্য কোনো শব্দে হারায়!

সংসার নামক মহাকাব্যে
প্রতিটি অধ্যায় শেষ হয় প্রশ্নে—
"কে দেবে মূল্য
এই নিঃশব্দ যুদ্ধের?"
কেউ জবাব দেয় না,
শুধু রান্নাঘরের চুলায়
জ্বলে ওঠে আরেকটি অনাদৃত সন্ধ্যা।

মেয়েটি আজও হাসে,
তার হাসিতে লেগে থাকে
অনেকগুলো ভাঙা আয়নার প্রতিধ্বনি;
আর আমরা?
আমরা শুধু গুনি ফাটল—
প্রতিটি ফাটলে একেকটি মহাবিশ্ব!

যদি জিজ্ঞাসা করো—
"স্ত্রী কি হারায়, কী পায়?"
তবে শুনো:
সে হারায় তার নাম,
পায় একখণ্ড আকাশ—
যেখানে ওড়ে না কোনো পাখি,
শুধু ঝরে পড়ে
অদৃশ্য বৃষ্টির ধ্বনি...

আমি দেখেছি—
একটি মেয়ে
যে নিজের হৃদয় ছিঁড়ে বুনে দেয় রোদ,
সে রোদে ভিজে আজও
জীবনের সবচেয়ে নিঃশব্দ চিৎকার
লেগে আছে আমার চোখের কোণে!