ঝরা পাতা যেন চিঠির খামে বন্দি,
সেখানে সময়ের শীতল দাঁত রৌদ্রকে গ্রাস করে।
বৃদ্ধাশ্রমের দরজা –
এ যেন এক বঞ্চনার ভাষা,
পশ্চিমের রক্তিম আকাশে
ভেসে ওঠা অশ্রুবিন্দুর ছবি।

একটি বৃদ্ধা মায়ের হাতে বোনা স্নেহের সুতো
বেলা শেষে ছিঁড়ে যায়
ছেলের অবহেলার করাত চাপে।
তবু মায়ের কণ্ঠে নেই কোনো অভিযোগ,
শুধু আছে প্রার্থনার দোয়া—
"তোমার দিনগুলো মেঘের মতো হোক কোমল,
তোমার সন্তানেরা যেন কখনো জানে না
এই দেয়ালের কান্না।"

ঘুম ভেঙে রাতের কুয়াশা
বৃদ্ধাশ্রমের দরজা ছুঁয়ে ফেলে শীতল হাওয়ার ছায়া,
যেখানে প্রতিটি রাত
প্রতিধ্বনিত হয় ভাঙা রান্নাঘরের শূন্যতায়।
গভীর নিঃশ্বাসে হাহাকার
পোড়ে মোমের আলোয়—
প্রতীক্ষার দীপ্তিতে।

যে ছেলে একদিন কাঁধে নিলো সুখের ভার,
তারই হাত একদিন খুলে দিলো
ভালোবাসার পায়রা – শূন্যে।
আজ সেই পায়রা ফিরেছে,
কিন্তু জানে না কীভাবে ছুঁতে হবে
মায়ার জলতরঙ্গ।

মায়ের কথাগুলো তখন
পড়ে থাকে বাতাসে,
মেঘ হয়ে ঢেকে দেয় শূন্যাকাশ:
"তোমার বয়স যখন এই দেয়ালের কাছে এসে থামবে,
তুমি তখনও জানবে,
আমি বরাবরই তোমার পাশে ছিলাম।"