শিরীষের পাতায় লেখা ছিলো— “আমায় ছুঁয়ো না, বিষাক্ত!”
তবু দুঃসাহসী আঙুল ঘাসফুলের মতো অঙ্গার ছুঁয়েছিল।
তোমার চোখের নিচে ক্লান্তির ছায়া ছিল—
পৃথিবীর শেষ ধূম্রশিখা—
নিখোঁজ সূর্যের চিঠি,
যেখানে লিখা ছিলো, “প্রেম তোমাকে ছলনা করবে।”

তোমার হৃদয় যেন নিকোটিনে আচ্ছাদিত এক প্রেমের অরণ্য,
বিষাক্ত প্রতিটি শ্বাস—
যেন নীলাভ ধোঁয়ার মাঝে হারিয়ে যায় বনের পাখি।
তোমাকে ভালোবেসেছিলাম
যেভাবে মরু জলাধারকে স্বপ্ন দেখে—
জেনে যে, সে স্বপ্নও মরীচিকা।

তোমার প্রেম,
যেন দূর মহাশূন্যে নিঃশেষিত তারা,
মৃত্যুর গান গেয়ে যায়—
তবু পৃথিবীর দিকে পাঠায় আলো।
আমাদের সমস্তটা প্রেম ছিলো
একটি অসমাপ্ত আয়না—
যেখানে প্রতিফলিত হয়েছিল
সময়, অনন্ত বেদনা, এবং মিথ্যার অলঙ্কার।

তোমার স্পর্শ যেন এক বিষধর মেঘ—
বৃষ্টি নামায় শিহরণে,
তবু মাটির কোলে রেখে যায় বিষের বীজ।
তোমাকে দেখেছিলাম একবার,
দূরের সমুদ্রতীরে—
কবিতার মতো ভাঙা,
নির্জন ঢেউয়ের মতো বিচ্ছিন্ন।

তোমার নামে লেখা উচিৎ ছিলো
প্রতিটি হৃদয়ের রক্তচিহ্নে—
“আমায় ভালোবাসা ক্ষতিকর।”
তবু সেই ক্ষতির মোহে,
আমরা জ্বালাই চিরকালের আগুন—
যা কখনো নিভে না,
যা কখনো আমাদের ত্যাগ করে না।