এমনি করে গিলে ফেলা যায় কি হাওয়া?
আকাশ ভরা জ্বলন্ত তারা,
যেনো এক বিষাদমাখা রাতের আহার—
শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে হঠাৎ,
তবুও তার স্বাদে ফুরোয় না তৃষ্ণা।

মানুষের হৃৎপিণ্ড কি জেনেছে কখনো—
তোমার রক্তের শিরা ধরে বয়ে যায় যে বিষ,
তা আসলে এক অসম্পূর্ণ ক্ষমতার ক্ষুধা,
অথচ লোভী অন্ধকারে চোখ বুজে বলো,
তুমি কি সেই আকাশ ছুঁতে পারবে?

তুমি কীভাবে বোঝো?—
ঘৃণা হঠাৎ মেঘ হয়ে জমে,
অহংকারের বজ্র বেজে ওঠে,
তুমি সে বিদ্যুতের তলায় পুড়ে যাও,
অথচ মনে করো, রক্ত মুছে যেতে পারে।

তুমি খাচ্ছো শব্দের প্রতিধ্বনি,
যা কারও কান পেতে শোনেনি,
তোমার লোভের পাত্রীতে সাজিয়ে রেখেছো
নিজের অস্তিত্বের ছিন্নবিচ্ছিন্ন অংশ,
কিন্তু তাতে কি হৃদয় ভরে?

এখন, দেখো—
তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে
একটুকরো মৃত্যু,
অথচ তুমি চিনতে পারো না তাকে।
সে তোমার ক্ষুধা মিটিয়েছে
তোমার নিজেরই ছায়া খেয়ে।

তোমার পথ শেষ,
তবুও তুমি হাঁটছো—
পদক্ষেপের শব্দ নেই;
তোমার চামড়ার নীচে জমেছে
তীব্র বিষাদের ব্যাধি,
যা একদিন তুমি ভেবেছিলে
কেবল আহারের আনন্দ।

এবার ফুঁ দাও,
জীবনটা উড়িয়ে দাও
হাওয়ার দোলায়—
তবু জানবে, কিছুই হজম হয় না
যা হঠাৎ গিলে ফেলেছো,
এমনি করে বিষাদে ডুবে যাওয়া।