কাঁচা রোদ্দুরে মিশে আছে অতীতের অভিমান,
ম্লান মুখশ্রী নিয়ে বসে আছে বুনো বটের ছায়ায়।
নগরীর কালো ধোঁয়ায় চাপা পড়া হাহাকার,
এক ব্যথাতুর বালিকা বাঁশরির স্বর চুরি করেছে।
আকাশের নীল ক্ষতগুলো ফাটল ধরেছে আজ,
প্রতিটি শ্বাসে বয়ে যায় বিরহের সিম্ফনি।
সেই বারুদের গন্ধে ভরে আছে চারপাশ,
নির্লিপ্ত প্রদোষে ঝরে যাচ্ছে রক্তের স্রোত।
শব্দহীন তপস্যার মতো চিৎকার জমে থাকে,
বাতাসে ভেসে যায় মৃত ইতিহাসের গুঞ্জন।
ধূসর স্মৃতির বুকে কেউ বুনে রাখে বিষাদ-
তোমাদের নতজানু পথে বিদ্রোহী আত্মার শ্লোগান।
বর্ণের সুরে সুরে থমকে যায় চেতনার জাগরণ,
জলরঙের স্বপ্নগুলো আছড়ে পড়ে ধুলোমাটিতে।
গহ্বরের মধ্যখানে একদল শিশির-কণার আর্তনাদ,
বিপ্লবের ব্যথা নিয়ে কাঁদে প্রতিটি কঙ্কাল।
হে প্রতিভূ, আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শব্দহীন মানচিত্র,
তোমার চোখে মেঘের রঙ— সেই ছিন্ন অশ্রু।
সেই অশ্রুতে ঝরে পড়ে ভবিষ্যতের বিষাদময় দলিল,
যেখানে লুকিয়ে আছে নতুন দিনের গভীর চিৎকার।
তোমার প্রতিরূপে আজও রক্তমাখা পলাশের ফুল,
ঝরা পাতা বেয়ে উঠে আসে ক্ষুধার্ত প্রশ্নের সুর।
আঁধারের কোলাহলে ভেঙে পড়ে প্রতিটি স্বপ্ন,
বিপ্লবের হাহাকারে মিশে যায় নিঃস্ব স্বরলিপি।