বিকেল পেরিয়ে যায় ছায়ার কালচে প্রান্ত ধরে,
আকাশের উদাস নীলিমায় জেগে ওঠে একলা বর্ণ।
জমাট বাঁধা ঘাসফুলের গায়ে চৈত্রের তপ্ত শ্বাস,
নদীর জলে নীরবতার দাগ—এক দীর্ঘশ্বাস।
দূরে, বটগাছের মগডালে কে যেন ডাকে,
শূন্যতা ভেঙে ভেঙে শব্দের তরঙ্গ বুনে যায়।
তোমার নামে একান্ত বসন্তের চিঠি,
পড়ে থাকে বাতাসের ধূসর ডানায়।
তুমি চলে গেছ, তবু কী অবিন্যস্ত রোদ
খণ্ডিত মেঘের কোলঘেঁষে ঢেউ তোলে মনের তটে।
অরণ্যের পথে ঝাউপাতার লুকোচুরি,
আর ঘুঘুর বেপরোয়া শব্দের রেশ—
সব যেন মুছে ফেলে এক ব্যথাতুর সুর।
আমি বাতায়নে দাঁড়িয়ে, খুঁজে বেড়াই
তোমার পায়ের শব্দের সুগন্ধ।
কেমন করে সময় জমে থাকে প্রাচীন ঘড়ির কাঁটায়?
কেমন করে নামহীন বিকেল ঢেকে দেয়
একলা বসন্তের পরিধি?
তুমি কি জানো, শূন্যতায়ও ফুল ফোটে?
নক্ষত্রহীন রাতের ভাঁজে বোনা হয় অন্যরকম সান্ত্বনা।
তোমার রেখে যাওয়া শব্দেরা আজ
অন্তহীন অলিন্দে গড়ে তোলে স্মৃতির দৃষ্টিকোণ।
একদিন তুমি ফিরে এলে,
বিকেলের রোদ পড়বে আমার দিগন্তে।
তবু কি ভাঙবে অন্ধকারে বাঁধা অভ্যাস?
নাকি কেবল বাতাসে মিশবে
অসমাপ্ত গানের ধ্বনি?