নক্ষত্রের নীলে আঁকা ভুলের এক নিশ্বাস,
পথ যেন শুষে নেয় জ্যোৎস্নার সমস্ত আভাস।
প্রথম ভোরের কুয়াশা মুছে দেয় অতীত,
তবু রয়ে যায় রক্তমাখা পায়ের পদচিহ্ন,
দহন জাগিয়ে রাখে রাতের নীলিমায়।

ভুল মানুষ, ভুল সময়, ভুল ঘুঙুরের রিনিঝিনি—
তবুও হৃদয়ের টানে বেঁধেছিলাম সংসারের চাদরে।
ঘরের কোণে যে ছবি ঝুলে,
তা কি শুধু এক ভ্রান্তির বিস্তার?
নাকি কালের পিঠে মিথ্যার গৌরবময় মুকুট?

আমার কোচকানো আকাশে জ্বলে এক লাল তারকা,
যে বলে, ‘জীবন এক অবিনশ্বর অগ্নি,’
কিন্তু তার আঁচে জ্বলে যায় আমার সমস্ত নীল স্বপ্ন।
বেদনায় চুরমার হয় গোপন সেতার—
তার তারে বাঁধা থাকে হারিয়ে যাওয়া গান।

কোনোদিন কি জাগবে সে ভুলের মলিন পথ,
যে পথে পা ফেলেছিলাম অজান্তে,
নাকি সে রয়ে যাবে অন্ধকারে ঢেকে,
জীবনের হিমেল রাত্রি অতিক্রম করে?

শুধু শূন্যতায় বাজে এক প্রতিধ্বনি:
“তুমি, হে প্রিয়তর, তোমার ছিল কি কোনো পরিচয়?
নাকি আমি চিহ্নহীন এক কবি,
যে তার কলমে লিখেছে ভুলের এক মহাকাব্য!”