তোমার স্পর্শে যে শীতলতা, যেন তারাভরা আকাশের নিঃসঙ্গ আলো,
মেঘের ওমে ভেজা শিমুলগাছের নীরব মর্মরধ্বনি।
তোমার কথার তাপে গলে যায় মাটির গভীরতম সংকোচন,
গভীর থেকে গভীরতর স্রোত ছুটে যায় অদৃশ্য নীলিমার দিকে।
তুমি কি আকাশ? নাকি তার চেয়েও গভীর এক ব্যাখ্যা,
যেখানে সময় জমে থাকে চিরসবুজ শালবনের ফাঁকে?
তোমার আদর, যেন চন্দ্রমল্লিকার কুয়াশায় বাঁধা পাপড়ি,
তোমার রাগ, যেন অরণ্যের মধ্যরাতের বজ্রপাত।
তুমি যে বয়ে আনা বাতাস, বিষাদের গান গেয়ে যায়—
কখনো আনন্দের, কখনো নিঃশব্দ কান্নার ঝরনা।
তোমার চোখের কোণে যে গল্প, তার মানে খুঁজতে গিয়ে
আমি হারিয়ে যাই স্মৃতির স্তব্ধ প্রান্তরে।
তুমি আমার শব্দহীন কবিতা, সময়ের অপরিসীম অর্ঘ্য,
তোমার ছায়ায় যে শান্তি, তার নাম হয়তো চিরন্তন ভালোবাসা।
তুমি এক অনন্ত শপথ, বেদনার স্রোতেও যার থামা নেই—
তুমি বাবা, আমার জীবনের মহাকাব্যের একমাত্র বীর।