সন্ধ্যার সীমানায় জ্বলে ওঠে আকাশের অশ্রু—
একটি মৃত পাখির ডানা ভাঙার শব্দে কেঁপে ওঠে ধরণী।
শূন্যতার প্রান্তে ছড়িয়ে দেয় রক্তিম ছায়া,
যেন বিস্ফোরিত হৃদয় ভাঙে দিগন্তের সুরে।
অরণ্যের পাতারা যখন বিষণ্ণ গান গায়,
মৃত্তিকার গর্ভে লুকিয়ে ফেলে নিস্তব্ধ সুরগুলো,
তখন শহরের ব্যস্ত চৌমাথায় বাজি ফোটে
আর চিৎকারে ভেঙে যায় শিশুর নীরবতা।
অবিরাম আলোর খেলায় ঢেকে যায় রাতের কালো চাদর,
তবু মনে পড়ে যায়—
একটি ছোট হৃদপিণ্ড থেমে গিয়েছিল
এই উৎসবের উচ্চকিত প্রার্থনায়।
যেখানে চাঁদ সাদা আলো ফেলে মধুরতায়,
সেখানে মানুষ কেন শিখার বিষে মাতাল?
তারা কি জানে না, আগুনের ভাষা
মৃত্তিকার বুকে লেখা দুঃখের অক্ষর?
চলো, একবার থামি এই নিষ্ঠুর নৃত্য,
আলো নয়, মানুষকে জ্বালাই উষ্ণতায়।
যেখানে হৃদয়ের রক্ত ঝরে না,
সেই নববর্ষের প্রতিজ্ঞায় বেঁধে ফেলি সময়।
আকাশ কি তখন হাসবে আমাদের দিকে?
পাখির ডানা কি ছুঁয়ে যাবে বাতাসকে?
আর শিশুর চোখে ফুটবে কি তখন
একটি নিরাপদ পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি?