নীল আকাশ ছেয়ে আসে কালো মেঘ ভেসে,
নিশিতে তারার আলো থেকে থেকে ওঠে নেচে।
ঘনঘন বারিধারা ঝরতে থাকে,
রিমঝিম বৃষ্টির তালে ব্যাঙেরা শুধু ডাকে।
অঝোর ধারায় ঝরে বৃষ্টি পথ ঘাটে,
নদীর ধারে জাল নিয়ে মংলা জেলে যায় ছুটে।
বর্ষায় এলো ঢল তাই বুঝি নদীতল,
বুনোহাঁসের কিচকিচ পাতিহাঁসের কোলাহল।
সবুজ সবুজ ঘাসের পাতা জলে রয় ঢাকা,
রংধনু নুয়ে পড়ে দূর হতে যায় দেখা।
জলে জলে খেলা করে ঝিলিক দেয় ঘোলা জলে,
মধুর হাসিতে ফুটে থাকে শাপলা জলে।
ভ্রমরের আনাগোন কদম ফুলে দেয় মন,
কোকিল তো নিশ্চুপ মাছরাঙ্গা ডাকে তখন।
জানালার ধারে বসে চেয়ে দেখি আকাশ পানে,
সূর্যটা আছে ঢেকে রোদ নেই উঠানে।
চারদিকে বনফুল ফুটে আছে নিরবে,
মৌমাছি খোঁজে তাই ফুল ফোটা সৌরভে।
খালে বিলে জল টলে পাখিরা ডাকে ডালে,
কৃষকেরা ঘরে বসে মাঝির নৌকা চলে।
কাছারি ঘরে বসে গাহে সবে ধুয়া গান,
ছাতা মোরে পানের বাটায় আনছে বধূ খিলি পান।
চাল ভাজার সাথে ভাজে কাঁঠালের বিচি,
খেয়ে নেও কি মজা কহেন বড় চাচি।
বিবি সোনাভানের পুঁথি পড়ে নানাজান,
রাক্ষস - ভুতের গল্প শুনে কেঁপে ওঠে প্রাণ।
ঝিরঝির সমীর বহে মনের ছন্দ ধারা,
কত সুখ কত দুখ আছে মোর শ্রাবণ ধারা।