পূর্ববাংলার ঘুচলো নসিব,
স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন শেখ মুজিব।
কালজয়ী ওই সাতই মার্চের ভাষণ খানি,
স্বাধীনতার অমর বাণী।
শেখ মুজিবের তর্জনীটা উঠলো নড়ে,
হাক ছাড়িয়ে বলছে এবার বুকের জোরে।
বজ্রকন্ঠে বজ্রবাণী,
শোনালেন তিনি মুক্তির বাণী।
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

পূর্ববাংলার নবীন-প্রবীণ উঠলো ক্ষেপে,
স্বৈরাচারীর দুর্গ খানি উঠলো কেঁপে।
পাকসেনাদের কররে তাড়া,
চতুর্দিকে দিচ্ছে সাড়া।
ক্ষেতমজুরের বাজার ঘাট,
স্বাধীনতার ডাক শোনা যায় কালুরঘাট।

লাঙ্গল জোয়াল ঝাঁটা নিয়ে,
যার যা আছে আয় বেরিয়ে।
ঝাঁপিয়ে পড় শত্রুর উপর,
মেহেদি হাত রাঙা বধুর।
থাক না এবার-
যুদ্ধে যাবো একটু সবুর।

আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা,
নববধূর লাল ফিতা।
করছে লড়াই,
মুক্তির লড়াই।
অস্ত্র হাতে নিতে হবে,
শত্রুমুক্ত করতে হবে ।
এবার পাড়ি দিতে হবে -
থামবে না আর চলার রথ,
স্বাধীনতার বিশাল পথ।

অগ্নিঝরা গুলির মাঝে,
স্বাধীনতার স্বপ্ন খোঁজে।
লড়ছে সমর,
হচ্ছে অমর।
করছে লড়াই দেশের জন্য,
খানসেনারা হচ্ছে হন্য।
কালো বুটের পাকসেনা,
আচমকা দিচ্ছে হানা।
প্রাণ দিবে তাও মান দিবেনা,
বাংলা মায়ের মুক্তি সেনা।

অবশেষে খান নিয়াজী,  
হইল রাজি।
মাথানত নাকে খত,
পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার -
দেয় নিয়াজী দস্তখত।

দু লক্ষ মা বোনেরা -
স্বাধীনতার জন্য তারা,
নারীর সম্বল করলো শেষ।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের -
অর্জিত এই বাংলাদেশ।।