হিমেল শীতের বইছে বাতাস শুষ্ক হেমন্ত,
কৃষক মাঠে ধান কাটছে খুশি অনন্ত।
ধানের আঁটি নিচ্ছে মাথায় কেউবা বাইঙ্গে ভারে,
ধান পড়ছে ধান ঝরছে পথের ধারে ধারে।
ধান কুড়ানি ধান খুঁটছে নাড়ার ফাঁকে ফাঁকে,
সাদা বক শালিক পাখি উড়ছে ঝাকে ঝাকে।
ইঁদুর গর্তে ধান খুঁজছে ধান কুড়ানির দল,
ধান পেয়েছে ইঁদুর গর্তে টোল পরেছে গাল।
নতুন ধানের সিদ্ধ শুকনা নতুন চালের গুঁড়া,
বর কনের এই নবান্নে দিচ্ছে বিয়া জোড়া।
দুধের হাঁড়ি মিষ্টি রসে ভিজছে চিতই পিঠা,
কি চমৎকার ভিজছে পিঠা লাগছে দারুণ মিঠা।
জামাই বাবুর মিষ্টি হাতে পান সুপারি মাছ,
হাঁড়ি বাঁধা হিমেল হাওয়ায় দুলছে খেজুর গাছ ।
মিষ্টি রসের পিঠার থালা পাশের বাড়িত দেয়,
দেওয়া নেওয়ার ভাব জমেছে শান্তি পাড়াময়।
রান্না ঘরে কাশি দিয়ে বলছে বড় খালা,
শীতে জামাই কাঁপছে শরীর একটু আগুন জ্বালা।
নতুন বউ মাজায় কাপড় বেঁধে নাড়ে ধান,
মন উচাটন রাখালিয়া ধরছে ধুয়া গান।
ধানের মলন মাড়ায় রাখাল দামড়া বলদ গাই,
নবান্ন আজ সবার ঘরে খুশির আমেজ তাই।
ধুক্কুর ধুক্কুর ঢেঁকির শব্দ ভানছে চালের গুঁড়া,
খড়ম পায়ে চাদর গায়ে হাঁটছে তজের বুড়া।
এ বাড়িতে ভাজছে পিঠা ও বাড়িতে মুড়ি,
মন আনন্দে নিচ্ছে খোঁজ পাশের বাড়ির বুড়ি।
কুটুম বাড়ি আসা যাওয়া কি যে আনন্দ,
ধমু পড়ছে পিঠা খাওয়ার শেষ হয়েছে খন্দ।