নারী শক্তি অপশক্তি বলিছে কোন দানব?
নারী মহীয়ান জঠরে তাঁর জন্ম নিয়েছে মানব।
অবহেলা নারী জগৎ তরী সাজিয়েছে ফুলে ফলে,
সেই নারীকে দমিয়ে রেখে পৃথিবী কেমন চলে।

অবলা নারীকে বেশ্যা বানিয়ে করিছো সাথে ফুর্তি,
তোমার কপালে পীর আউলিয়া বেশ্যার জুটিছে লাত্থি।
পুরুষ শাসিত দুনিয়া আজি কলঙ্ক কবে মুছবে,
নারী তুমি রুখে দাঁড়াও তবেই বিপদ ঘুচবে।

ফসলের খেত ভাবিয়া নারীকে রেখেছো অন্দরমহলে,
অর্ধ শক্তি রেখেছো বন্দি বেঁধে রেখেছো শিকলে।
এখনো রয়েছে রাবণের জাত সীতারে করে হরণ,
জাহিলি যুগ যায়নি কেটে জীবন্ত করে দাফন।

জ্বলন্ত চিতায় সতীদাহ নারীর পুরুষের ছলাকলা,
সতীত্বে খুলিবে স্বর্গের দ্বার নরকে ঝুলিবে তালা।
সতীত্বের ধর্ম নারীর শুধু পুরুষ পেয়েছে খালাস,
কোথায় আছে এমন ধর্ম খোঁজ করো তার তালাশ।

নারী খৎনা ভ্রুণহত্যা কোন জাহিলির আঁধার,
বিবাহ ছলে বিভিন্ন কৌশলে অবলারে করো পাচার।
ডানে বামে সামনে পিছনে লালসার চোখ ভারি,
হাজার কথা হাজার ব্যথা হজম করে নারী।

পুরুষকে জন্ম দিয়েছে নারী পুরুষ করছে ভোগ,
পান থেকে চুন খসিলে নারীর শুনিতে হয় অভিযোগ।
নারী জাতির উঠতে বসতে সকল জায়গায় দোষ,
কোমলমতি নারীর প্রতি পুরুষের আক্রোশ।

ভোগমহলে বেঁধে রেখে করিছো যারে নির্যাতন,
ছাড়িয়া দেখ তোর মায়ের জাত ভাগনি কিংবা বোন।
মাঝরাতে বউ পিটানো কান্না শুনি কান্না করে খোকা,
ভক্তি ছাড়া বউ পিটায় খুন্তি পোড়া ছ্যাঁকা।

নারীর রয়েছে অঢেল শক্তি শরম লজ্জা লাজ,
অগ্নিনারী তোমার হাতে বিশ্ব রাষ্ট্র সমাজ।
নৃত্যর তালে দামামা বাজা খঞ্জর তালে ঢোল,
হাতুড়ি বাটালি শাবল নিয়ে মুক্তির দুয়ার খোল।

অথই সাগর দিবে পাড়ি হুঁশিয়ার কান্ডারি,
মুক্তির ডাক দে স্লোগান সকল বন্দি নারী।
উতল হাওয়া শক্তি পুরুষ ভুবন আকাশ ময়,
নারীর ছোঁয়ায় পুরুষ জাতি করছে সকল জয়।

নারী এনেছে প্রথম ফসল ফসলের ভান্ডার,
নারী জ্বালিয়েছে সন্ধ্যা প্রদীপ দূর করেছে আন্ধার।
তোমার মাঝে মর্তে পুরুষ পেয়েছে স্বর্গ সুখ,
তোমার নয়নে অশ্রু ঝরে দেখি হাসি ভরা মুখ।

নারী তুমি শ্রেষ্ঠ সবার শ্রেষ্ঠ নারী কুল,
তব জঠরে জন্ম সবার দেব-দেবী নবী-রাসুল।
তোমার পরশে পাথর গলে রূপে মুগ্ধ ধরণী,
ঝলকে ওঠে দিবামণি চেয়ে থাকে রজনি।

নারী ছাড়া পুরুষজাতি খ্যাপা টালমাটাল,
নারী হচ্ছে সকল সুখের সকল পথের হাল।
এই নারীকে পিছে রেখে গড়বে পৃথিবী ?
আঁধার হবে এই পৃথিবী উঠবেনা আর রবি।