তোরা আমাকে স্বাধীনতা দে আমি কবিতা লিখবো,
তোরা আমাকে সাহস দে,
আমি বিদ্রোহী কবির মন্ত্র শেখাবো।
আমি এই বাংলায় জন্মেছি নীলকন্ঠে গান শোনাবো।
কুকুরের জলাতঙ্ক আঁচড়
কিভাবে নির্মূল করতে হয় তা শেখাবো,
শেখাবো হায়েনার কামড় কিভাবে প্রত্যাঘাত করতে হয়।
ভ্যাকসিন ছাড়া সব রোগ সারবে
আমি তার কৌশল শিখাবো,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।
যে দেশের মানুষ দেশের স্বার্থে মানুষের কল্যাণে
বুক ভরা বিশ্বাস নিয়ে
বুক উঁচু করে দাঁড়ায় সুন্দর স্বপ্ন প্রাপ্য অধিকারের জন্য,
আর কাপুরুষের দল সেই বুকে বুলেট ছোঁড়ে
আমি সেই মানুষের জন্য কবিতা লিখতে চাই,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।
আমার লেখায় কোন ছন্দ মাত্রা সাধু চলিত থাকবেনা,
থাকবেনা দাঁড়ি কমা প্রশ্ন
শুধু থাকবে বিস্ময় যতিচিহ্ন।
আমি লিখতে চাই কিছু শব্দ
কিছু বাক্যের অগ্নি ঝংকার যে ঝংকারে -
পাহাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হবে
সাগরে জল শুকাবে,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।
আমার লেখার তাণ্ডব দেখে ইসরাফিল শিঙ্গায় ফুৎকার দিবে,
আজরাইল তাঁর নিজের জান নিজেই কবজ করবে।
জিবরাইলের ঐশীবাণীর আর দরকার হবেনা।
আমি অস্থির রাজ্যে বাসকরি,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।
জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যেখানে অত্যাচারিত নিপিড়ীত হতে হয়,
দেহের অঙ্গ বিছিন্ন পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়।
আমি সেই কবিতা লিখতে চাই,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।
আকাশচুম্বী ক্ষমতা নমরুদের নাকে মশা
কপালে জুটিছে তার জুতার বাড়ি,
ফেরাউন ডুবে মরে নীল নদে।
আমি তার গল্প শোনাবো,
গল্প নয় সত্যি!
ফেরাউন মিশরের জাদুঘরে আজও আছে,
তবে দেখতে শুটকি মাছের মত -
অভিশপ্ত মরা দেহ।
মানুষ দেখে - হাসে আর মজা পায়,
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় মানুষ।
ক্ষমতার বল সব চলে গেছে
আমি সেই ক্ষমতার কিছু কথা লিখতে চাই,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।
শুধু এক বিন্দু কলমের কালিতে লিখবো
হাহাকার মানুষের জীবন চিত্র
ফুটে তুলবো বাংলার মানচিত্র,
আমাকে কবিতা লিখতে দে।