দেখতে দেখতে তাকে একঝাঁক তারা বের হয়ে এলো,
এলো নারীর মুখের সহজ অথচ নিপুন উপমা চাঁদ।
শহরের কর্মব্যস্ত জীব ভিড়ের দিবস শেষে ফিরে আসে আপন সাম্রাজ্যে,
সে যে ফিরে এলো দুঃশ্চিন্তিত কৃষকের মাঠে টিপটিপ বৃষ্টির খেলায়।
আহা! কত কল্পনাই তো এভাবে করি আর করি
তার ফিরে আসার নিছক স্বপ্নে বাস্তবতার মাঝারে।
কেটে গেলো অনেকগুলো বছর মা হারা শিশুর সাথে বঞ্চিত রাস্তায়,
তার দেখা পাবে বলে কতগুলো দীর্ঘ রাত দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করেছে।
ইচ্ছের বিনাশে নাশ হব বলে বসে আছি ভুল সব ভুলে গিয়ে,
সে তো এলো না আমার গুপ্তকুঞ্জ ঠিকানায় নিজের ইচ্ছায়।
অপেক্ষার রাত আর ভোর হয়ে ফোটে না লজ্জিত রবির প্রথম দৃশ্যে,
মেলা মেলা দুপুরবেলার অগ্নিময় রোদে হেটে গেছি পরিশ্রান্ত মানুষের ভিড়ে।
বাংলার বিদ্রোহী আন্দোলনে মরা লাশ হয়ে মিশে আছি মৃত্তিকার সাথে,
কত রক্তপাত হয়েছে এখানে নিরীহ পাড়ায়।
দিনগুলো খুব বড় মনে হয় ক্ষণস্থায়ী ধরাধামে,
বহুকষ্টে কেটে গেলো বারিসিক্ত নয়নের লম্বা লম্বা বিভাবরী।
ঘুমের নয়নকূলে এসে ভেঙে দাও রোজকার ঘুম,
নিয়ে যাও আমার জীবন কষ্ঠাহত অতীতের কাছে।
সকল ঋতুতে সকল যামিনী অবিরত বৃৃষ্টি নামে,
বৃষ্টির কবলে পড়ে পুরোপুরি ভিজে যায় দরিদ্রের ছাউনি পাতার ঘর।
ট্রেন চলে নরম রেললাইনে সূর্যের আকাশে চাঁদের আকাশে,
বয়ে যায় অন্তহীন প্রতীক্ষার বেলা থেকে বেলা অবেলায় জানালায়।