সারারাত হিমশিশিরের জলে ভিজে গেল গহীন জঙ্গল,
সারারাত বেদনার অগ্নিকুণ্ডে জ্বলে যায় অগাধ আমার বাড়ি।
পাখিসব উড়ে যায় পাখিদের নীড়ে,
হলুদবরণ আকাশের নিচে শুধু একা একা কথা বলি আমি।
উড়ন্ত বকের মতো পৃথিবীর মাঠেঘাটে
উড়ে চলে মোর অন্তরবিহঙ্গ নিয়ে আশা-ভরসা।
বৃক্ষাচ্ছাদিত আঁধারময় বনে
গোল শশী গোপনে এসেছে কতবার,
তবু জীবনের সূর্যোদয় ফোটেনি কো
প্রভাতফেরির বার্তা নিয়ে।
দেখেছি,দেখেছি আমি
প্রকৃতির সাথে গোধূলির অনন্তযৌবন খেলা।
রাজ্যে রাজ্যে আজ প্রেমের মিছিল,
পোস্টার-ব্যানার সবই প্রস্তুত,
শুধু মিছিলে নামতে পারিনি এখনো আমি।
পাহাড়কে ভালোবেসে বয়ে যেতে দেখেছি ঝর্ণার বারি,
আমাকে কখনো ভালোবেসে কেউ
দুফোটা চোখের জল নামিয়ে আনেনি।
কত কবিতার কথা সঙ্গীতের রূপ নিয়ে মনোরম খেলা করে,
আমার কবিতা আজো সঙ্গীতের মঞ্চে মেতে উঠতে পারেনি,
আমার কবিতাখানি
শ্রুতিমধুর আবৃত্তি পায়নি এখনো।
একদিন জীবনের ঝোপঝাড়ে এসেছিল একটি জোনাকিপোকা,
কুড়িয়ে নিয়েছি তারে দুহাতের কক্ষে,
কখন সে কবে গিয়েছিল উড়ে চলে আঙুলের ফাঁক দিয়ে হায়,
রাখতে পারিনি বুকের জোনাকি বুকের জাজিমে গেঁথে।