একজন দাসের মূল্য নির্ধারণ
(মো. আরিফ চৌধুরী)

আমিও যে এক অচল মানুষ, এই একবিংশ শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে, আমার বাজার মূল্য এখন অব্দি  দশ হাজার টাকা। বেনিয়াদের মানিব্যাগে আমার জন্য এর চেয়ে বেশি বরাদ্দ নেই। রাজনীতি বিমুখ বুদ্ধিজীবী, কবি, বিজ্ঞানী, ও দার্শনিকদের মধ্যে কেউ কি রাজি আছেন, আমাকে দশ হাজার একশো টাকা দিয়ে কিনে নিতে?

আমাকে দিয়ে আপনাদের বাজারের ব্যাগ অথবা যাতায়াতের  গাড়ি টানাতে পারবেন। আমি দেখে রাখতে পারবো আপনাদের পোষা কুকুর, বিড়াল,
অথবা ফোটাতে পারবো আপনাদের বাগানের বাহারি রঙের ও গন্ধের অজস্র ফুল। রাজনীতি বিমুখ কোন বুদ্ধিজীবী, কবি, বিজ্ঞানী,ও দার্শনিকদের মধ্যে কেউ কি রাজি আছেন, আমাকে দশ হাজার একশো টাকা দিয়ে ক্রয় করতে? রাজি হলেই নিজেকে করবো আজন্ম ক্রীত দাস! আমার জনম দু:খি, কবিতা লেখার খাতা আর কলমটি আমি ফ্রীতে দেবো। সাথে পাবেন আমার চোখের লাল আর নীল রঙের স্বপ্নগুলো। না, না, আমার চোখের জল— আমারই থাকবে, চোখের জলের ভাগ আমি কাউকে দেবো না। আমি একবিংশ শতাব্দীর শুরুর সিকিতে, দাস বাজারের সবচেয়ে কমদামী দাসদের নিলাম ঘরে আছি। কেউ কি রাজি আছেন, আমাকে দশ হাজার একশো টাকা দিয়ে কিনে নিতে?
চাইলে, সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন।