-আনিছুর রহমান
চির দূরের আর্জি শোনো প্রিয়,
পালক কটি রেখে গেলাম অশ্রু ভেবে নিও।
সুদূর বনের সুখের পাখি আমায় ভুলে গিয়ে,
রচেছে তার সুখের ভুবন গহীন আঁধার দিয়ে।
এই পারে সেই দুঃখ নিয়ে যে বেঁধেছে ঘর,
চির দূরের আর্জি শোনো প্রিয় অবান্তর।
এখন তোমার স্বপ্ন দেখার নতুন দিনের বেলা,
আমার তরে রেখো তোমার সকল অবহেলা।
নইলে তোমার সুখের নীড়ে বর্ষা হঠাৎ এলে,
আমার মতোই ভাববে শেষে কি থেকে কি পেলে।
আমি প্রিয় পেয়েছি ঐ চোরাবালির চর,
চির দূরের আর্জি শোনো প্রিয় অবান্তর।
এখনও কি রাত জেগে চোখ রাখো চাঁদের পানে?
আমায় ভেবে ভেজাও আঁখি ঝিঁঝিঁ পোঁকার গানে।
কিংবা হঠাৎ চমকে ওঠো আমার বলা নামে,
অপলকে তাকাও তেমন খুঁজতে ডানে-বামে।
আমি প্রিয় তেমনি তোমার চির ছিলাম পর,
চির দূরের আর্জি শোনো প্রিয় অবান্তর।
যে পাখিটা অভিমানে কাঁদতে গেছে ভুলি,
তার কি খাঁচা সাধ করে কেউ এমনিতে দেয় খুলি?
কতো ব্যাথা আটকে থাকে কতোখানি ক্ষতে,
রাত গুলো যার ফুরিয়ে গেছে দীর্ঘ হতে হতে।
সেই জানে গো প্রিয় যে জন কাঁদে জীবন ভর,
চির দূরের আর্জি শোনো প্রিয় অবান্তর।
নিজের থেকে হারায় যে জন কে রাখে তার খোঁজ?
সবাই তারে ভুলতে থাকে নিয়ম করে রোজ।
তাই এপারে একলা পাখি লুকিয়ে গেছে দূরে,
যেথা হতে কোন পথিক আর আসেনা ঘুরে।
আমি তো তাই হইনি কারো তেমন প্রিয়তর,
চির দূরের আর্জি শোনো প্রিয় অবান্তর।