তোমার কথাই কি ঠিক?
কারা ফটকে আছে ভুলো গাছ।
না, পুরোটা ঠিক মানতে
আপত্তি আমার।
এই যে আমি, কারা থেকে
বের হয়ে কতজনকে
মনে রেখে অন্তত যোগাযোগ
টুক তো করেছি।
বাদ যায়নি তোমার বেলায়ও।

ভুলো গাছের আঁচড়
আমায় আটকাতে পারেনি।
আমিতো ভুলিনি, প্রথম রাতে
পানি মন্ত্রীর হৃদ্যতাপূর্ণ
সতর্কবাণী।
আমার বেশ মনে আছে!
পদ্মা থেকে যমুনায় যাওয়ার কথা।
সকালের ফাইল, দুপুর, বিকেল,
রাতের ফাইলের কথা।
আরও মনে আছে!
যেদিন
জেলার সাহেবের ফাইল ছিলো।
আমি যমুনায় সিলিং ফ্যানের
সমস্যা বলায়, তিনি আশ্বস্ত
করেছেন। বেশদিন কেটে গেলো,
তোমরা কি সে ফ্যানগুলো পেয়েছো?

২৫ এপ্রিল ডিসি সাহেবের ফাইল,
প্রায় বিকেল অব্ধি আমাদের
রাখা হলো ঝঞ্ঝাট পূর্ণ।
শেষে জানলাম, তিনি
ভিতরে না এসে চলে গেছেন।
পরদিন-২ নং ওয়ার্ডে
নোটিশ বোর্ড দেখলাম,
তিনি কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
শুধু বুঝতে পারেন নি,
হাজতীদের কষ্টের কথা।
মাঝে মধ্যেই এমন
খামখেয়ালি আচরণ হয় কারাগারে!

তুমি কি সেই ভুলো গাছ দেখেছো?
কারা ফটকে, যার কথা তুমি বলেছো।
তুমিও অনেকের মতো ভুলেছিলে!
তাই সম অপরাধে আবারো সেখানে
তোমার পদধুলি।
তাই কি?

ক্যান্টিন! আছে আগের মতোই?
ফাইলের সেই তরকারী, ক্যান্টিন
পরিচালক এর পকেট ভরােেত
যা করা হয় খাবার অনুপযোগী।
আমার মনে আছে, তোমার সেই
ভুলো গাছ আমায় ভোলাতে পারেনি।
ডালে বেশ মজাই পেতাম।
সকালের সেই রুটি!
তোমার সুবাদে দু'টো খেতাম।
তুমি বের হবে, দু'দিন আগে পরে
কিন্তু তুমি সব ভুলে না
যেও, ভুলো গাছের খপ্পরে।

তরকারীর যা অবস্থা!
আমাদের সমাজে উচ্চবিত্বদের
চতুস্পদ প্রাণীর জন্য উপযুক্ত নয়।
সেই উঁচু দেয়াল, যার কাছে গেলে
নিরাপত্তারক্ষীর বেধড়ক পিটুনির
আশংকা।
কই? আমি তো ভুলিনি।

সেখানে লেখা আছে...
রাখিবো নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ।
নিরাপদ রাখলেও আলোর পথ
দেখানোর আয়োজন শুন্য।
না আমিতো ভুলিনি....
বলে এসেছি তোমাদের
দোয়া করতে, যেন কোন
নিরাপরাধ না আসে এখানে।
আমরা যারা মুক্তি নিয়ে যাচ্ছি,
আমাদের শপথ হোক একটাই
২য় বার এখানে না আসাটাই।