জরুরী ছাড়া কী করে বলি, একটু কলে আসা যাবে ?
তোমার ব্যস্ততার কাছে আমার যে কোনো
জরুরৎ মূল্যহীন।
কোনো ভাবেই আর কল দিতে সায় পাই না।
যদি তোমার ব্যস্ততার ব্যঘাত ঘটে।
আমি তো নিতান্তই গোবেচারা মানুষ
আমার কোনো জরুরৎ মানায় না।
মন তো কতো কথাই বলে
আকাশের পানে চেয়ে থাকে
বাতাসের দমকায় ভেঙ্গে পড়ে
মেরামতের পর সেড়ে ওঠে আবার।
ক’দিন আর হলো
না বলা কথার দিন
তবুও যেনো বহুকাল বয়ে গেছে,
বহু যুগ অতীতের কোলে গেছে ঢেকে,
মনের অজান্তেই হিসেব করি
সে কাল আর যুগের।
আমার মতো গোবেচারা মানুষের
কোনো জরুরৎ থাকবার কথা নয়,
আমি সর্বদাই উন্মুখ থাকি
থাকি কষ্টের সময়টুকু কণ্ঠ মেলাতে,
তোমার ব্যস্ততার কাছে তা যতো নগন্যই হোক।
রাতের গভীরতা ভেদ করে
ভেসে আসা কন্ঠের সাথে মিলিয়ে
সহসাই হারিয়ে যাই,
বিদ্যুৎ চমকানো রাতে পথিকের মতো।
কখনো হয়ে উঠি দুর্বার
কখনো থমকে থাকি তিথির অন্ধকারে
না কোনো ভাবেই মেলে না পথের সীমান্ত।
আমি তো নিতান্তই গোবেচারা মানুষ
আমার স্বাগত জানানোর মাঝে
তোমার কিচ্ছু যায় আসে না,
অনবরত তুমি তোমাতেই অটল থাকো।
আমি তো নিতান্তই গোবেচারা মানুষ
কায়মনে প্রার্থণা করি
আমার কোনো জরুরৎ তোমার কাছে
যেনো মূখ্য না হয় কখনো।