প্রছন্ন পথ পেড়িয়ে দিকদিগন্তের আলো বাতাস,
রাতের অন্ধকার, সব উপেক্ষার সাহসী বানালে।
আমি ভীত হবো কোন সুখে ?
প্রকৃতির এমন রূপ বহুবার ঘিরে
আমাকে শিখিয়েছে অনেক,
অনুপস্থিতির বাস্তবতায় শক্ত পায়ে দাঁড়াতে।
দুর্ভেদ্য বুহ্য না ভেঙে, আমি অনতিদূরেই
বসবাস যোগ্য করে তুলবো সকল প্রতিকুলতা।
অনাকাঙ্খিত প্রতিবন্ধকতার সব দোর খুলে
বিবেকের বোতাম আটকাবো না কখনও।
তুমি বিচিত্র কলকাকলীতে মত্ত থাকবে
ভুলে যাবে সোনালী অতীত,
স্মৃতির অন্তড়ালে থাকবে অমিমাংসিত প্রলাপ।
অনিশ্চিত গন্তব্য রোধ করবার
ক্ষমতা না থাক আমার, তবুও
সহনীয় হয়ে উঠবে সময়ের বিভীষণ।
খুব বেশী অনুভবে এলে
অবাঞ্চিত না হোক, অঘটন তো ঘটবে না
এ বিশ্বাস থেকে দূরে নই।
আস্থার প্রতীকরূপে দূরের প্রদীপ হলে
তাতেও ক্ষতির কোনো উপসর্গ নেই।
অথচ দূরত্বের কতগুলো পেড়িয়েছে সময়
কোনো হিসেব নেই তার,
তবুও তাতে অতৃপ্তি ঢেকে রেখে আর কি হবে।
তৃপ্ততার চাদরে না হয় কাটাবো দূরত্বের
সে অবর্ননীয় কাল।
জোৎস্না রাতে আলোর ফাঁকে
পাতার আবডালে অন্ধকারও থাকে
তাকে উপহাস করবো কোন সাহসে।
হেরে যেতে যেতেই গন্তব্যে পৌঁছবার
দু:সাহসী বানাতে প্রেরণার অভিযানে
বিশ্বাস হারিয়ে ছুটে চলা পথিক নই।