আজ আর উষ্ণতা অনুভব হয় না
বসন্ত শুধু ফুলের সৌরভ দেখাতে
শরৎ তার কাশবন মেলে ধরতে
আসা যাওয়ার প্রতিযোগীতায় মত্ত।
কবিতার জন্য প্রতিটি শব্দ এলোমেলো মনে হয়।
আবেগ অনুভুতি অন্ধকারের মতো
কুকড়ে আছে মনের গহীনে।
উড়ে গেছে প্রেরণা
অতিথি পাখির ন্যায়।
প্রতিদিনই বাড়ছে হৃদয়ের ব্যক্তহীন পঙক্তিগুলো।
উপহাস সহসাই সহ্য হয় এখন,
উপেক্ষার সিঁড়ি বেয়ে বহুতল ভবনে নিত্যই উঠছি
তবুও শেষ নেই সিঁড়ির।
সে ব্যস্ত না অজুহাত ?
আমি ব্যস্ত না অজুহাত?
আসলেই কি ব্যস্ততার চাদরে আবৃত?
তার ব্যস্ততার অন্ত নেই
ফুরসত নেই এর ফাঁক গলিয়ে সময় দেবার।
আমিও কর্মজীবনের গন্ডির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
সময়ের কটাক্ষকে বরণ করার নগ্নতায় মগ্ন।
নিত্যই অনুভব করছি
এভাবেই তার ব্যস্ততা বাড়বে
বাড়বে আমারও,
সময়ই দূরত্ব বাড়াবে সম্পর্কের।
সম্পর্ক না ছাই ! এমন কিছুই নেই।
তাতে দূরত্ব আবার কী ?
ভালোবাসার প্রতুত্তরে তার উপহাসগুলো কষ্ট দেয়ার
শক্তি হারিয়ে অমাবস্যায় মিলেছে,
দ্যার্থ হীন বলা যায় না।
মাঝে মাঝেই উঁকি দেয় পরকীয়ায় মত্ত সেই কবুতরটির মতো,
যে এ ডাল ও ডাল করে ছুটে চলে দৃঢ়তায়।
কখনও মঙ্গলবার রাতে বাঁশ ঝাড়ে দৃশ্যমান
জোনাকের মতো
কখনও ফনা তুলে ছোবল দেয়ার চেষ্টায় থাকা
আগন্তুুক গোখড়ার ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়।