উপেক্ষার সমুদ্র পাড়ি দিয়েছি
তখনও তোমায় উপেক্ষা করতে পারিনি।
আজ তোমাকে উপেক্ষার দু:সাহস !
কি করে এমনটা হবে ?
তুমি তো হৃদয়ের গহীন বরাবর
সাগরের উর্মি দোলায় ভাসমান।
নোনা জলের তরীতে সেই উর্মি আছড়ে পরে
আমি উদ্বেলিত হই, তন্দ্রাচ্ছতায় আমাকে নিমগ্ন করে,
আমি হারিয়ে যাই তোমার মাঝে
আমার প্রেরণার খোঁজে।
রাতের গভীরে স্বপ্নেরা উঁকি দেয়
প্রেরণার উদ্দীপ্ত দহন তখনও
খুঁজে বেড়ায়। আকাশের শত শত তারায়
রাতের অন্ধকারে দীপ্ত ছড়াতে যারা চায়।
ঘুরতে থাকা জীবন চড়কার তেলসহ
প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম
আর সে দাম উসূলে বাড়ছে সময়ের ব্যস্ততা।
উপেক্ষার সমুদ্র পাড়ি দিয়েছি
অনেক আগে। সে আমায় ছুঁতে পারেনি,
আমায় টলাতে পারেনি স্বেচ্ছা নির্বাসিত প্রেরণার
বাহুবন্ধন থেকে। আমি বিষন্নতায় আচ্ছন্ন
হবার কেতন উড়তে দেইনি কখনও।
তোমার উপেক্ষার সময়গুলো ভীষণ উপভোগ্য
হলেও, পিছপা হইনি। অবকাশ চাইনি
সে উপেক্ষার করতল থেকে।
আজও বিশ্বাস সে উপেক্ষাই আমায় রাখবে ঢেকে।
আমি শিখিনি তোমায় উপেক্ষা করতে
আমি পারিনি উপেক্ষার বাহুডোরে আবদ্ধ থাকতে।
তাই অকপটে বলছি-আমি পারিনা,
না আমি পারিনা উপেক্ষা করতে,
আমি শিখিনি উপক্ষো করতে।