অবনীর কোলে শত নর বলি
       ঘাতকের উল্লাস;
চোখ মেলে দেখি দেবতার মাঝে
      পাপাত্মার বসবাস।
জননীর সুত পান করে চলে
     গরলের স্রোত ধারা;
মাদকের বিষে কোরবানী হয়
     অজস্র নিষ্পাপ তারা।
ধরণীর বুকে দেবলোক গড়ে
      নরকের শয়তান;
দুর্গম গিরি করছে সিন্ধু
    পঙ্গু সব হনুমান।  
অজয় ঠাকুরের দেবালয়ে চলে
  অহি-নকুলের মোনাজাত;
কুরুবংশীয় নৃপালের প্রজা
    সয়ে যায় অপঘাত।
আশির্বাদ নাকি অভিশাপ ওরা
      কুৎসিত সৃষ্টি;
নিস্তেজ রবি হরণ করে নেয়
    বিধাতার রোদ বৃষ্টি।
রাবনের চিতায় জ্বলছে মানুষী
      নির্বাক ভিক্ষুর দল;
মানুষের রূপে উদয়-অস্ত
   ভীরু সাহসীর বল।
অজ্ঞ-বিজ্ঞ সমান তালে
    করে যায় অপরাধ;
ক্ষীয়মান শশী মেঘের আড়ালে করে
      অমানিশার প্রতিবাদ।
অগ্র পশ্চাৎ ঢাকা পড়ে আছে
   তুষার পিন্ডের ঝড়ে;
বর্তমানের চাওয়া পাওয়া তাই
    চিৎকার করে মরে।