শোবার ঘরে গোসল খানায় রান্না ঘরের চিপায়
দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হলেই টিকটিকিটা লাফায়।
যতই বাড়ে রাতের আঁধার ছুটে এদিক ওদিক
শুনলে দু চার কথার আওয়াজ বলে সে ঠিকঠিক।
দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকে যায়না বেশি দেখা
দরজার পিছে খাটের নিচে থাকে দিয়ে গা ঢাকা।
আত্মগোপনে কখনো লুকায় আলমারিটার তাকে
জানালায় আঁটা পর্দার নিচে গ্রিলের ফাঁকে ফাঁকে।
দিনের আলোয় ঘুমিয়ে কাটে রাতে করে শিকার
দেয়াল থেকে দেয়াল ঘুরে খুঁজে বেড়ায় আহার।
মশার ঝাঁকে হামলা চালায় এদিক ওদিক চেয়ে
দাঁতের ফাঁকে পড়লে মশা আনন্দে নেয় খেয়ে।
দিনের পরে দিন কেটে যায় মশার সংখ্যা কমে
সব মশারাই ভাবছে এবার ধরল এ কোন জমে?
এইতো ভীষণ মহাবিপদ মশাদের হলো ঘুম হারাম
মিছিল মিটিং সভা করেও মশাদের দলে নেই বিরাম।
জান বাঁচাতে করছে লড়াই বৃদ্ধ জোয়ান সব মশা
নিরুপায় হয়ে ভাবছে সবাই বাঁচার বুঝি নেই আশা।
বুদ্ধি করে মশারা তাই ছড়ালো গুজব সবখানে
টিকটিকিটা শুনলো সবই লুকিয়ে ঘরের এক কোনে।
বাসার ছাদে ফাটছে বোমা কানফাটা তার আওয়াজ
উড়ছে বারুদ রঙ বেরঙের আতঙ্কে এই সমাজ।
ভয় পেয়ে তাই রাস্তা খোঁজে এদিক ওদিক দেয় উঁকি
পালাতে গিয়ে জানালা চেপে লেজ হারালো টিকটিকি।
মশারা এখন খুব নিরাপদ এলাকা ছাড়া তাদের জম
আনন্দে দিন কাটছে তাদের নাচে গানে ফেলছে দম।
বাসার ছাদে ঘটেছিল যা আতশবাজির কারসাজি
গুজবের সাথে গজব আসে কয়জনে তা ঠিক বুঝি?