শুকনো পাতারাও মর্মর করে কেঁদে ওঠে ঐ বনে
ভালোবেসে যদি ব্যথা দেয় কেউ এতটুকু তার মনে।
তার সাথে কাঁদে বন-বিহঙ্গ নিঃশব্দে অশ্রু ফেলে
অভিমান করে থাকে কিছুদিন শুকনো পাতার দলে।
যৌবনের রং ফিকে হয়ে আজ ধুসর হয়েছে দেহ
বসন্ত বরণের জন্য তাকে ঝরে যেতে বলেছে কেহ।
শুকনো পাতা বলেই কি তার নেই কোনো অধিকার
আসলেই তো জন্ম ও মৃত্যু কেবা কবে হয়েছে কার?
মাটিতে পড়ে নিষ্প্রাণ চোখে রিক্ত ডালে সে চায়
কত আগ্রহী প্রতীক্ষা তার শুন্যতা ঘোচাতে পূর্ণতায়।
শুকনো পাতা হোক সে মৃত তবুও গাছের ডালে
শোভিত করে রেখে দেয় তাকে মলিন মৌসুম কালে।
নবনবীনের সবুজ ফোয়ারায় নীজেকে সাজাবে সে
তাদেরও কিছুদিন রাখবে যত্নে অন্তরে ভালোবেসে।
সেই ভালোবাসা বাসি হয়ে যায় সময়ের বিষ বাষ্পে
সতেজ পাতারাও তেজহীন হয়ে ঝরে যায় নিশ্চুপে।
ঝরা পাতারা খোঁজে আশ্রয় সেই বন্য মাটির কোলে
যার কাছে নেই আপন ও পর সকলেই একই দলে।
মাটির চেয়েও হয়েছে আপন, কে বলো পৃথিবীতে?
পৃথিবীটা তো ত্যাগী মানুষের তবু স্বার্থপর কেন জিতে?
আবারো নবীণ হবে যে প্রবীণ মলিন শীতের ছোঁয়ায়
সেও যাবে ঝরে বেদনার ঝড়ে কোনো এক সন্ধ্যায়।
সময় খেলে সময়ের কোলে দোল খেয়ে তালে তালে
আসবে আলো আসবে আঁধার একে অন্যের বদলে।