মন যেন আজ মরুভূমির ধু-ধু বালুর শুন্য চর
একলা সেথায় বসত আমার, একলা মানুষ যাযাবর।
যুগ যুগান্তর পথ চলা মোর পথে পথে মোর বাসা
তীরে তীরে আমি নীড় বেঁধে যাই হোক সে সর্বনাশা।

মুখোমুখি হেথা আকাশ-মাটি তপ্ত তেজে করে লড়াই
স্বাধীন জীবন দিয়ে বনবাস জয়ের নিশান আমি উড়াই।
জীবন এখানে যুদ্ধের মাঠ যুদ্ধ করেই যেন বাঁচি
নিয়তির কাছে নিজেকে সঁপে পৃথিবীর বুকে তাই আছি।

পায়ের নিচে মরুর ধূলো আমার চলার চির সাথী
চাঁদ ছড়ানো জোছনার আলো আমার ঘরের ঝাড়বাতি।
মাথার উপর দিনের সূর্য পথ দেখিয়ে দেয় মোরে
কাছের বন্ধু শীতল বায়ু বুলিয়ে পরশ ডাকে ভোরে।

প্রাপ্তির আশায় বুক ভরা বল সাহারার পিছে যায় ছুটে
অবশেষে তাহা মরীচিকা হয়ে দুচোখে মোর ভেসে ওঠে।
নিশিত রাতে তারার সাথে গল্প করি রাত জেগে
উভয়ে মোরা নিজকে জ্বেলে ফুল হয়ে ফুটি এই বাগে।

একলা আমি চাতক পাখি জল চেয়ে যাই দিন রাতে
মেঘগুলো সব আশা দেখিয়ে অজানার পথে যায় ছুটে।
দিনে দিনে মোর তৃষ্ণা বাড়ে বুকের ছাতি যায় ফেটে
চোখের জলে বুক ভেজে তবু তৃষ্ণার জল নাহি জোটে।

সহসা কখনো ওঠে ধুলিঝড় শুকনো মরুর বুক চিরে
বুক পেতে দিয়ে থমকে দাঁড়াই বাঁচা মরার সেই ঝড়ে।
আত্মগোপনে সুখ পাখিটা নিরাশার মাঝে ডানা মেলে
দুঃখ সাগরে এক মুঠো হাসি শত ভরসার পাল তোলে।