মুখোশ, মুখোশ,
শুধু চারিদিকে মুখোশের ভিড়,
আমাকে অস্থির ক’রে তোলে,
নিরুপায় হয়ে তুলি হাত আকাশে,
খটখটে মেঘ-রোদ্দুরের,
সুন্দর নির্মাণ করে চিরায়ত,
আর এক পৃথিবী;
আমি চেয়ে থাকি নির্নিমেষ।
এখন মুখোশ যুদ্ধে কেউই পরে না ছদ্মবেশ,
স্বাভাবিক দেখে ভাবি আড়ালে,
নেকড়ের চোখ জ্বলে,
ধারালো নখের লক্ষ্য ঢেকেছে আস্তিনে।
আমি অক্ষরের যাদুবলে,
মুখোশের আড়ালে যে মুখ, তাকে চিনে নিতে গিয়ে দেখি,
তাও প্লাস্টিক সার্জারী করা, অন্য আগন্তুক।
ছেলেবেলাকার সেই চোখ-নাক-মসৃণ চিবুক কিশোর, যুবক আজ নেই,
পণ্যভার বহনের ভারে ক্লিষ্ট প্রাণ,
মানুষ হয়ে ছদ্মবেশী,
যুগের অস্থির অভিনেতা
আজ সকলেই।
মুখ ও মুখোশে আজ ভেদ নেই, কোন ভেদ নেই।