আজ প্রহরী আমার দু’চোখ,-
যাত্রীরা হুঁশিয়ার
এখন ঘুমানোর সময় নয়!
এখন চোখে তন্দ্রার ভাব রাখতে নেই।
নিশুতি রাতে যদি ছুটে আসে নিশাচরা প্রাণীর দল!
সাবধান হুঁশিয়ার,
ওরা মৃত্তিকা ভূতাবেশে মানচিত্র চিবিয়ে খাবে-
যেমনটা খেতে চেয়েছিল উনিশত একাত্তর এ,
গাঁ-য়ের কাদামাটি থেকে শহরের পিচ ঢালা রাস্তা-
এমনকি রাতের নৈঃশব্দেও ফাটল ধরিয়ে ছিল।
আবার দেখ চলে এসেছে শোষণের কদাকার চাকা,
ওরা স্বপ্নকে পিষেদিবে, সংবিধানে নীল কালির প্রলেপে।
এখনো ঘুমিয়ে আছো! তোমার ঘুম তোমাকেই ভাঙ্গতে হবে।
না হয়!
স্বীয় দেহে মত্ত হবে ওরা, রক্তের ভেতরে ভেসে যাবে তোমার গা,-
এবার গুনতে থাক পরম্পর, নিদ্রাহীন রাত্রির প্রহর-
থেমে যায়নি শত্রুর দল, ছায়ায় নিয়েছে বাস-
বাজাও তোমার সঙ্গীত তলোয়ার, ছুটে আসবে হ্যামিলনের বাঁশির ন্যায়,
উড়িয়ে দাও পতাকা,- তোমার স্বপ্নের পাথরগুলি শিকল হয়ে হায়েনাকে বন্ধি করবে,
তোমার নতুন নাম রেখেছি যুদ্ধ, তোমার বারুদের তেজস্ক্রিয়তায় জ্বালিয়ে দাও ছায়ার নিবাস;
তুমি জেগে থাকো কয়েকটি রাত্রি,- যেমনটা ছিলাম আমরা,
তুমিই হবে শূন্য মৌচাকের ন্যায় প্রবাহিত মধু,
আমাদের আত্মায় তুমি বুনে দেবে তোমার বিজয়ের ফসল-
আমি তোমার ফিরে আসা দেখব উড়ন্ত পতাকার চিহ্নে।
জুলাই ২৯, ২০১৭