নাফ নদীতে ভাসছে শিশু, দেখ হে বিশ্ব মানবতা!
বাঁচার জন্য জন্ম নিয়েও, তারা পায়নি বাঁচার স্বাধীনতা।
নিষ্প্রাণ দেহে বক্ষ টানে শিশু, কাঁদছে মা’কে ঘিরে
অবুঝ শিশু জানে না হায়! মা আসবেনা আর ফিরে।
মানবতা! কোথায় তুমি?
তুমি আমার স্মৃতির শত্রু
তুমি আমার বাসনার শত্রু
তুমি আমার অশ্রুর শত্রু
মনেরেখ!তোমাকেও একদিন ছিন্নভিন্ন অনুতাপে রাখবে ঘিরে!
দেখ!মানুষের রক্ত মিলিত হয়েছে আজ নাফ জলে
যে জল আমি অনুভব করি হৃদয় তলে।
যে জল আমার চোখের জলের চেয়েও ভারি,
টুকরো মানব দেহ, কাদার ভিতর থেকে ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে লাশের সারি।
স্বজন হারানোর মর্মযন্ত্রণায় কান্নার স্বর চাপা পড়ে আছে!
নির্মম যন্ত্রণা সয়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে গেছো মানুষের কাছে।
নিজ গৃহে আজ হয়েছো পরিত্যক্ত
ভেসে যাও রক্ত স্রোতে
পেরিয়ে পাহাড়, ঢেউ উত্তাল নদী
জমে থাকো লাশের সারিতে।
আরাকান আকাশ বেঁধে রাখে বিশ্ব মানবতার অন্ধ চোখ!
মুণ্ডহীন দেহ খুঁজছে একটি কবর!
মানবতার শূন্য গর্তগুলো পূরণে
খালি হবে আর কত মায়ের বুক।