জন্মের চোখ ধাঁধানো প্রচ্ছদে মৃত্যুর উপন্যাস লিখে লিখে
           তুমি  ভুলে গেছো
হৃদয়তলে রয়েছে বুলেটের খনি।
আজ পিস্তলের কান্নায় যদি ভেঁজা থাকে হাত
     রুমালে লাভ নেই
           মুছে যাবে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট!


পৃথিবীকে লাথি মেরে মহাশূন্যের বাইরে ফেলে দিলে
তুমি শোকেজ থেকে হুবহু আরেকটি পৃথিবী এনে বসিয়ে দাও!
  তাই স্বপ্ন-জ্যামিতি শিখতে গেলে
            ভেঙে যায় পেন্সিল
আমি শার্পনারে ঘুরাতে থাকি কসমিক যন্ত্রণা...


নিজ থেকে দূরে সরে সরে দেখি
মিটিমিটি জ্বলে অবচেতনের প্রদীপ।
চেতন উলটে দেয়! নিভে গেল বুঝি!
কিন্তু সে জানেনা, বিবেক আগেই বুকের মেঝেতে ঢেলে রাখে কেরোসিন
পুড়ে মৃণ্ময় আদিখ্যেতার ঘর, বিশ্বাসী পর্দার ছাই দিয়ে চলতে থাকে চিরকালের যজ্ঞ!


রক্তমাংসের ধূলোয় গড়া এই অনাথ পৃথিবী
কয়েক ঢোক আলো গিলে বমি করে ভাসায় আঁধার!
মেঘের কাপড় সরিয়ে আকাশের শরীরে খামচি বসায় যে শকুন
তার চোখ থেকে মোমবাতির আগুন ধার করে শহরের সব উপাসনালয়।


তুমি কি জানোনা, আমাদের লেলিহান রণক্ষেত্র কোন মহাজাগতিক ঐতিহ্য নয়
অগ্নিস্নানরত শরীর নিয়ে হে ঈশ্বর! তোমাকে একবার শুধু দেখিয়ে দিব দোযখের কান্না...