তোমায় ডেকেছি আজ পৃথক আলপনায়।
অনামিকায় হেমন্তের শিশির জড়িয়ে প্রেমিকা হয়ে ওঠে যেই কুমারী নবান্ন,
তার আঁচলে ফুটে ওঠে মল্লিকার যৌবন।
এখানে আলোর চোখে ঘুম এঁকে দেয়া শিল্পীর হাতেই থাকে ঋতু-দেবতাদের ছাড়পত্র।
নতুন ধান ভাঙা ঢেঁকির তলপেটে রেখে দিই
হৈমন্তিক সূর্য গিলে খেতে চাওয়া চোরাবালি ঋতুর মুখ!
তবু নাবিকের মতো পিপাসাকে যেতে দেইনি
যেখানে মেঠোপথের জ্যামিতি শিখে নেওয়া গ্রাম্যবধূর কোমরে
রোদেলা চুম্বনের উপপাদ্য পাঠ করে গাণিতিক কামার্ত সন্ন্যাস!
দেখাতে চাইনি
কিভাবে কৃষকের ঘাম-বীজে শস্যের আশ্চর্যবোধক জন্মান্তরে
জাতিস্মর হয়ে ওঠে হেমন্তের হৃৎপিন্ড।
তোমায় ডেকেছি সূর্যমৈথুনের শেষ শ্রমনের টানে,
রক্তের আফিম নিয়ে আসা গোধূলীর ঘ্রাণে।
তোমায় ডেকেছি আমি
আলোর পদত্যাগে অশ্বিনী-তলে,
যেখানে হেমন্ত বসে থাকে বটের বৃদ্ধাঙ্গুলে, এলাচি মাখা জলে....