বুনো বাতাসের কাগজে তোমার উড়ন্ত চুলের কবিতা
ঈশ্বর তোমাকে আবৃত্তি করে যাচ্ছেন নিরন্তর।
শীতের রোদ অসীমের পেখম মেলে তোমার শরীরে,
ভেতরে অবেলায় নিঃশ্বাস নিতে থাকে বসন্ত-ময়ূর।    

সন্ধ্যার হা করা মুখে হাত ঢুকালে বের হয়ে আসে গত হয়ে যাওয়া দিনের অতৃপ্তি            
তুমি রাতের খুলে যাওয়া বেণী, অন্ধকারের দীঘল সমর্পণ!      
চুম্বনে চুম্বনে বুকে লজ্জার গ্রীল কেটে ঢুকে পড়ি!    
পৃথিবীর এক কোণে আলো জ্বলে আঁধারের চাতুর্যে।                                                          
                                                
এই অস্তিত্বের প্রস্তরলিপিতে এঁকে দাও জলজ সংলাপ
খুঁজে নাও ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভালোবাসার প্রাচীন নগরী!    
রহস্যের কফিনে নড়ে ওঠে প্রাক্তন প্রেমের কংকাল
হয়ে ওঠো আজ জ্বলে যাওয়া জীবনদুয়ারের জলপ্রহরী।