গ্রীষ্মের অভিধান মুখস্ত করে আসা ভালোবাসা
        বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে আবৃত্তি করে
                    শরতের আসন্ন মৃত্যু!
বজ্রের আঁকাবাঁকা সরু দাঁত
          আকাশে নিয়তির অট্টহাসি!
জল-করুনায় ভিজে থাকা পথে
     কিছু ম্যানহোলের জিভ হয়ত খুঁজবে        
                      নোনাজলের স্বাদ!

শরীরের স্পর্শগুলো ধুঁয়ে দিতে চাইবেন
          বৃষ্টির যিঁনি রক্ষণশীল স্রষ্টা...
পা থেকে মাথা অবধি সজল চাবুকের বাড়ি!
     হে শ্রাবণ, তুমি তাঁকে বলে দাও
তাঁর ক্ষমতা তিঁনি নিজেই করেছেন সসীম,
অদ্ভুত মেঘ-প্রচ্ছদে কামার্ত প্রেমের অন্য বরষায়।
শ্রাবণের এই অবাধ ধারায় ভিজবে না কোনোদিন
    স্পর্শধারায় রচিত মস্তিষ্কের সংবিধান।

এক একটা ধারার উন্মোচনে,
     ইতিহাসের নির্লজ্জতা এসে দাঁড়িয়ে যায়!
ভালোবাসার রাষ্ট্রে বসে
     ঐতিহাসিক মহাশ্মশানের আয়োজন!
চামড়ার কাফন উলটে পালটে দেখে,
     ভাগ্যচিতায় সাজানো শরীর ছাই বানায় ধর্মের পাপ!

দিক বেঁকে যাওয়া নদীস্রোতের অনীহায়
                    ছাইগুলো থেকে ফুটে ওঠে
                               প্রথম দিনের গোলাপ!
শুরু হয় আরো একবার
           প্রণয়ের বিনিদ্র নেশায়
             পেলব রাত্রিগুলোর অবগাহন!
কিন্তু কোন এক শ্রাবণদিনে
     সেই গোলাপ আবারো শুয়ে পড়ে
                               ভাগ্যচিতার আসনে!
এভাবেই জন্ম-জন্মান্তর পুড়তে থাকে
    রক্ত-লালের
           আজন্ম পুরাণ।