কেউ একবার বলুক, তুমি কবিতার মা
আমার একক শব্দ প্রসবিনী
ঝর্ণার মতো লিখতে লিখতে ভেঙে পড়বো পাথর-মরমে
দিনের নদীকে রাতের পরম সমুদ্রে একাই বয়ে নিয়ে যাবো।
কেউ বলুক, হে কবিতাগন্ধা নারী
তোমার বুকের গভীর খাদেই আমার মরণ!
সেই বুকের নামেই লিখে দিলাম সমস্ত জমির দলিল।
তখন নির্বিঘ্নেই হয়ে উঠবো মমতাময়ী মা, শব্দের রাঁধুনি!
ভাতের মত শব্দ মেখে মেখে খাইয়ে দিবো কবিতার সেই সন্তানকে।
কেউ যদি বলে, তুমিই কবি, আমার কবি...
যার শব্দের ভাঁজে ভাঁজে নিজের জন্য মারণাস্ত্র খুঁজি
আত্মহত্যা করে বেঁচে উঠি এক মসৃণ নরকে!
তবে তার জন্য অনন্তকাল ঝরাবো চোখের জমজম-অশ্রু
এই কবির কবিতার পাণ্ডুলিপিই হবে তার একমাত্র ধর্মগ্রন্থ।