হে পৃথিবী, আজ আমায় ঘুমোতে দাও!
প্রতি রাতে তপ্ত দুপুরের উপন্যাস লিখতে লিখতে আমি হয়ে উঠেছি গনগনে আঁধার...
মৃণ্ময় হাতে ধরে রাখা যৌবন বালু হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আত্মায়
আমি তো আজন্ম নিঃসঙ্গ থাকতে চেয়েছিলাম!
গোলাপজলে ডুবিয়ে হত্যা করার কোনো দরকার ছিলো না!
এখন জানি আমি, নিঃসঙ্গতাহীন জীবন জাগতিক আলোর ঘুটঘুটে প্রলাপ!
যে চাওয়াগুলো নরম বালিশে মাথা রেখে সিলিঙের ফ্যানে দেখতো ঘুর্ণায়মান তোমাকে,
তারা যেন আজ উদভ্রান্ত চাদরের ভাজে ভাজে নিদ্রায় শায়িত কতগুলো বাঁদুর!
অথচ আমি ঘুমোতে পারছি না, কিছুতেই না।
পৃথিবী, মৃত্তিকার শোধ আমি মিটিয়ে দিবো মৃত্যু দিয়ে।
তুমি কেনো বুঝতে পারছো না!
সূর্যকে প্রশ্রয় দিলে চন্দ্রতাড়িত নৈঃসঙ্গ নিয়ে আসে দহন-স্রোতের জোছনা
চন্দ্রের নুপূর বাজলে সূর্যের গলা ধরে নৃত্যে মাতে কলঙ্ক!
এভাবে ঘুমোনো যায় না।