তোমার চিবুক ছুঁয়েই বুঝি ঈশ্বর চাঁদের গাঁয়ে কলঙ্ক এঁকেছিলেন।
অথচ মানব সম্প্রদায় মাতাল তোমার চোখ নিয়ে!
যে চোখের তরল অন্ধকারে ডুবে যায় স্বরলিপি,
ডুবে অতৃপ্ত প্রেমিকের উন্মাদ সংলাপ।
ও চোখ কোন রূপসীর চোখ নয়
নেই কৃষ্ণকলীর কালো হরিণী চোখের মতো আবেদন।
ও চোখে মাঝরাতে জ্বলে বিধ্বস্ত আগুন,
পুড়ে যায় নশ্বরতা, পুড়ে যায় যত অন্ধ বিশ্বাস।
হে নেপথ্যচারিণী, অপস্রিয়মাণের দিকে হাত বাড়াও যখন,
ভেতরের কৃষ্ণ গহবর গিলে ফেলে সমস্ত বোধ।
এদিকে প্রেমিক সমাজে যুদ্ধ শুরু হয় তোমার চোখের দখলদারিত্ব নিয়ে।
কোনো একদিন তোমার চোখে চুমু খাওয়া যুদ্ধজয়ী প্রেমিক শুধু জানবে,
অন্ধকারের তরঙ্গে যে সুর বাজে সে সুর কতোটা মাদকতাময়।
অথচ একদিন ভুবনজয়ী সেই চোখের অন্ধকার খুলে রেখে দাও অবিশ্বাসের চরণে!
তাই বিভ্রান্ত কবি বলে ওঠে পূর্ণিমায়,
তোমার চিবুক ছুঁয়েই বোধহয় ঈশ্বর চাঁদের গায়ে কলঙ্ক এঁকেছিলেন।