নিভৃতচারীর বুকে আজ
নিজের পায়ের কসমিক আদেশ!
অথচ কন্ঠে শোনা যায় ক্ষয়িষ্ণু কাঠের গল্প।
জবানবন্দী দিতে চাই না কোনো
পুরনো বুলেটগুলোর চেহারা দেখার ইচ্ছা ছিলো
গান পাউডারের কটু গন্ধে
আজো নিঃশ্বাসগুলো বদ্ধ,
শূন্য মেশিনগানে!
মনে আছে কি?
জটবাধা চুলের সেই রাত!
আঙুলের ভাঁজে ছিল শীতার্ত রোদের কথন।
আজ পৃথিবীর সমস্ত চিরুনি অক্ষম
তোমার বার্ধক্য সামলে নিতে পারে,
শুধু একটি পুরনো হাত!
যে হাতের রেখারা মিলিয়ে গেছে অতীতের ইথারে!
আজো কি একই ব্যথা জাগে?
নাকি স্পন্দনে বিমূর্ত সব?
যুগান্তরের ডায়েরিতে রাখা গোলাপ মিথ্যা বলে!
ব্যথার শরীরে কি বিষাদ-ঈশ্বর জাগে?
নাকি কামার্ত শয়তান?
মনে রেখো,
আমি সারাজীবন মৃত্যুর ফেরেশতাকে ডাক দিয়ে যাই।