তোমার চোখ দুটোতে যেন দুরন্ত নদীর সংলাপ!
অথচ ঐ নদী আজ নিয়ে এসেছে ভাঙন, হৃদয়ের সবুজহীন বিভীষিকায়!
কোনরকমে একটি ভাঙাচোরা গৃহ ছিল, যেখানে মানুষের বিকল্প হিসেবে কিছু পুতুল রেখে দিয়েছিলাম।
ভেসে গেছে সেগুলো, ভেসে গেছে নৈ:শব্দের প্রদীপে সাজানো অন্ধকারের আরতি ।
রৌদ্রতপ্ত অনীহায় যে হৃদয় আমার সবুজহীন,
সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পলিমাটির বিশ্বাসী সুগন্ধ।
অরণ্য-বিলাস চাইনি আমি, চেয়েছি চরের হাহাকার।
চাইনি জীবন্ত মানুষ, চেয়েছি অন্ধকারে সাজানো পুতুলদের নিরবতা।
তোমার দুরন্ত নদী তবে কেন আমায় দিচ্ছে সবুজের লোভনীয় প্রস্তাব?
কেন মানুষকে বসবাসের আহবান জানাচ্ছে এই অরণ্যবিরুদ্ধ হৃদয়ভূমিতে?
দরকার নেই অরণ্য, আমি জানি একদিন এই সবুজ উজার হয়ে যাবে,
বেদনাদগ্ধ নি:স্বতা জাগবে, মানুষেরই অমানুষিক যত কাণ্ডে!
তাই দরকার নেই কোন মানুষেরও, যারা সভ্যতার আলখাল্লা গায়ে জড়ায়ে ধ্বংসের গ্রেনেড ছুড়ে,
যাদের সুন্দর চামড়ার লেবাসে লুক্কায়িত থাকে এক দলা পচা মাংসের হৃৎপিন্ড।