এক যুগ আগে হওয়া দুর্যোগ ফিরে এসেছে।
আমার শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে যাচ্ছে যেন...
এ কি? তুমি যেই না আমায় আলিঙ্গন করলে,
হৃদয়-পাহাড়ের নিচে অবদমিত অপেক্ষারা যেন যন্ত্রণার লাভা হয়ে নির্গত হচ্ছে অনির্বাণ....
বারো বছরের বারো হাজার কোটি দীর্ঘশ্বাসেরা কালো ধোঁয়া হয়ে উড়ে যাচ্ছে চৈতন্যের আকাশে।
অনুভূতির মেঘেরা হারাচ্ছে নরম শুভ্রতা,হারাচ্ছে স্বচ্ছতা
স্নায়ুতন্ত্রে জমতে শুরু করেছে আক্ষেপের মলিন সবুজ।
তুমি বড় হয়েছো,কিন্তু চোখে রয়ে গেছে চন্দ্রালোকের সেই অদ্ভুত নেশা!
অনেক সাধনায় জোড়া লাগানো অস্তিত্বের টুকরোগুলোর মাঝ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে,
ঐ চাহনি-সৃষ্ট প্রাচীন প্রেমের জোয়ার।
আমি ভেঙে যাচ্ছি,আবারো ভেঙে যাচ্ছি
এ পৃথিবীর মাঝে তোমার আগমণ খুব অসহ্য মনে হচ্ছে!
ইচ্ছে হচ্ছে, বুকে চাকু মেরে হত্যা করি ভালবাসার সমস্ত অহংকার।
কিন্তু জানি, আমার গায়ে ভালবাসা তার রক্ত ছিটিয়ে উপহাস করে উঠবে...
আমি যদি কান্নার দড়িতে ভালবাসাকে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে দেই চেতনার আকাশে,
সে ঠিকই দড়ি খুলে মেঘের সাথে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসবে!
আমি ভিজে যাব আবার, আমার শরীর থেকে বের হবে যন্ত্রণার অদ্ভুত সুগন্ধ।
বারো বছরের লক্ষ কোটি দীর্ঘশ্বাসেরা তোমার পিছু নিবে...
যেখানেই যাবে, আমার দীর্ঘশ্বাসেরা কাঁচের টুকরোর মতন ভেঙে ভেঙে তোমার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়বে, গড়াগড়ি খাবে।
অথচ তুমি টের পাবে না কিছুই!
তোমার পায়ের নিচে বিঁধবে না সেই কাঁচের টুকরোগুলো।
*খুব কাছের একজনকে দেখেছি, যে তার প্রিয় মানুষের দেখা পেয়েছিলো ১২ বছর পর। তার যন্ত্রনাটা আমি তীব্রভাবে অনুভব করতে পারি, আর সেই অনুভব থেকেই এই কবিতাটা লেখা।