কবিতা! না....
এখন বিজয়ের কবিতা লিখতে গেলে,
বাংলার ঘরে ঘরে ওড়ে
সতীচ্ছেদের রক্তমাখা শাড়ির পতাকা!
জায়নামাজ! না....
হাটু গেড়ে বসে পড়ি
তাদের পুড়তে থাকা ঘরের সামনে।
সাম্প্রদায়িক গালিচায় হামাগুড়ি দিতে দিতে হয়ে উঠি নাস্তিক!
একাত্তর থেকে সতেরো
উপবাস চলছে এখনো!
স্বাধীনতার ক্ষুধা! স্বাধীনতার ক্ষুধা!
চিৎকার করতে করতে রক্তবমিতে ভেসে গেল ইতিহাস।
৫৬ হাজার বর্গমাইল গণতান্ত্রিক বুকের চামড়া ভেদ করে উঠে আসা হাড়ের বিভৎস দৃশ্যায়ন।
ঐ বুক আজ সংসদের টেবিল
নপুংসক থাপ্পরগুলো বাজতে থাকে...
বাজতে থাকে....
আবারো রক্তবমি!
পাকস্থলীটা নিঙরালে বুঝি বের হবে কয়েক লক্ষ কোটি লিটার সুবিধাবাদ!
মন্ত্রনালয়গুলোর চিকিৎসা-বিজ্ঞাপন দেখে দৌড়!
জিহ্বার বিশাল তার
ঢুকাতে থাকে
ঢুকাতে থাকে.....
"ধৈর্য ধরুন,
এন্ডোসকপি করতে সময় লাগবে।"
নাগরিক চোখের বাতিল ক্যামেরা
৭ই মার্চের কণ্ঠনালী থেকে গোঙানি!
স্ক্রিনে পিউড়ি কুয়াশার বিস্তৃতিতলে
মানচিত্রের ক্ষতেরা কাটে রক্তসাতার।
বের করো!
লালায়িত জিহ্বার ঐ লম্বা তার!
মুখ থেকে ফিনকি দিয়ে ছুটে
নূর হোসেনদের রক্ত
আসাদের রক্ত....
লোহিতপুণ্য-গর্ভে জন্মানো সেই সবুজ ভ্রূণের বয়স আজ ৪৬
এখনো তোমরা নিশ্চয়ই বলে উঠবে
"আবারো এন্ডোসকপি করতে দিন।"