* ঘুঘুর নবজাতক
জয়শ্রী কর
বাসা বানায় একটা কোণে সুরক্ষিত জেনে
মুখে করে জোড়া ঘুঘু ডাল-বিচুলি এনে।
মাঝে মাঝে চোখাচোখি কী কথা যায় বলে!
সারাবেলা কত সোহাগ প্রেম-পিরিতি চলে।
ওদের মনে পুলক লাগে দখিন সমীরণে
প্রকৃতিতে রং লেগেছে মাঠে পলাশ বনে।
কুরুর কুরুর ডাকে কত আবেগ পড়ে ঝরে
মা ঘুঘুটা একলা বসে পাহারা দেয় ঘরে।
এমন সময় হঠাৎ একটা শব্দ এলো কানে
ডিমের রসে ভিজে গেছে মেঝেটা সেইখানে।
দোলায় বসে দুলছি আমি কষ্ট পেলাম মনে
দুইটা পাখি তখন বসে বাসাতে নির্জনে।
সুখের আশায় বেঁধেছিল যত্ন করে বাসা
চিহ্ন একটু রেখে যাবে মনে রঙিন আশা।
মা ঘুঘুটা কারে যেন উঠল জোরে ডাকি
মাঝে মাঝে নীড়ে আসে, আমি দেখতে থাকি।
বাসার ভিতর পড়ল চোখে ছোট্টো দুটি ছানা
বাঘের মাসি সুযোগ বুঝে বাসাতে দেয় হানা।
ভয় পেয়ে তাই ছানাগুলো কান্না দিল জুড়ে
কদিন পরে বাসাতে নেই, কখন গেছে উড়ে।