ক্ষোভ
- আবদুল মতিন


দেমাগ দেখায়েন না - অসহ্য লাগে।
দুনিয়াটা আপনার বাপে বানায় নাই,
যে বানাইছে সে আপনারে যেমন এইখানে পাঠাইছে
আমারেও তেমনি সেই পাঠাইছে।

এই দুনিয়ায় প্রথম আলো দেখনের দিন
আমার গায়ে যেমন একখান সুতা ছিল না, আপনার বেলায়ও একই অবস্থা ছিল।
তয় ভাগ্যের লিখন - আমি আইলাম এই দিক
আর আপনে চইলা গেলেন ওইদিক।
আপনে ওই দিকে গিয়া পাইয়া গেলেন সোনার চামুচ ভর্তি মধু,
আর আমি সোনার চামুচ তো ছাই,
কারো আঙ্গুলের ডগায় এক ফোঁটা মধুও উঠলো না;
উঠলো একফোঁটা নোনতা জল।

আপনার আমার মাঝে সেই যে ফারাকের শুরু
আইজ অবধি সেইভাবেই চলছে।
এই দুনিয়ায় আপনে যে কায়দা কানুনে আইছেন
আমিও তো সেই নিয়মেই আইছি।

আপনার, আমার যখন একই মালিক
তখন সেই মালিকের পয়দা করা দুনিয়ায়
ভোগ করার অধিকার তো থাকার কথা সমান সমান!
তাইলে ক্যান এমন অবিচার, বলতে পারেন?
বলতে পারেন কোন গুণের লাইগ্যা আপনে পাইলেন সোনার চামুচ
আর কোন দোষে আমার বেলায় আঙ্গুল চোষণি!
জানি জবাব আপনার জানা নাই।
তয় সেই ব্যাবাকের মালিকরে একদিন জিগাইমু
- ক্যান এই একচোখা নীতি!

ভাগ্যের লিখন বেবাক মাইন্যা লইছি
কিন্তু দেমাগ দেখায়েন না - দেমাগ কইলাম মানতে পারুম না,
দেমাগ বড় অসহ্য লাগে।