প্যারিস থেকে মেউনিখ
উত্তম চক্রবর্ত্তী
তরুণীর আরোহণ জাগায় নিগূঢ়তম যৌবনের জ্বালা ।
এ যে অসাধারণ, দুর্বোধ্য, প্রমত্তঃ মনে হয় দুর্গম।
নিবিড়তম স্পর্শ করে তপ্ত, তোলে যৌবনের উত্তাল তরঙ্গ
নিশ্বাস-প্রশ্বাস মিলে মিশে যায়, আনে ঈষৎ স্পর্ধা।
ট্রেনের গতিবিধি প্যারিস থেকে সুদূর মিউনিখে
মাঝে ইনস্ব্রুক: মানে 'ইন' নদীর সেতু।
দাঁড়াবে তরুনী - লিন্ড - স্নিগ্ধরূপা, সুখস্পর্শ
-------- নয়নাভিরাম পদে।
গতির শিকার সর্পিল ট্রেন, কামরায় তিনেক যাত্রী
ক্ষণিকের পরিচয়, একই পরিবার, ছোট্ট শিশু,
দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলে আমি মিসা ----- দেবতাসুলভ।
রবির আলোর মতো নিষ্পাপ, বিলায় রঙিন ধারা।
ট্রেন চলে দুলে দুলেঃ ক্ষিপ্র-ত্বরিত গতিতে
বাড়িঘর গাছপালা নিমেষের আহ্বান, দ্রুত বিদায়।
মাঝে নদী 'ইন', আল্পস দেয় উঁকিঝুঁকি
প্রেমের আসক্তি বিছিয়ে দেয় লাল লাভার মতো
লিন্ড দেয় দেহ মন, জাগায় যৌনসঙ্গমের স্পৃহা
দুজোড়া আখির মিলন পরিনত হয় নীরবতায়
দীর্ঘ চুম্বন তোলে অবিরাম ঢেউ, বৃষ্টিতে নয়
থর থর কম্পন আবেগ চালিত, উন্মোচিত দেহ
---- আনে না পরিপূর্নতা।
শুধু সহাযাত্রীর কৌতুহল ভরা চোখ।