মৃত্যুকে দিন ক্ষণ দেখে করে আহ্বান
আমারই অর্ধাঙ্গিনী আমারই জীব্ন সঙ্গিনী।
চায় মুক্তি দেহ মনের দাঁড়িপাল্লা থেকে
সে ভাবে, সুখ-দুঃখের পাল্লায় নেই কোনও ভারসাম্য।
তার অভিযোগ, দুঃখ জীবনকে করেছে অতিশ্ঠ, দিয়েছে কেবল বেদনা।
এনেছে অনাহূত বিপর্যয়, করেছে দেহ-মন ক্ষতবিক্ষত
সুখ দিয়েছে কিছু, কিন্তু করে নি সমান, রাখে নি তার স্থিরতা।
জীবনের শেষ মুহুর্ত্ত পারবে কি ওই দুঃখকে ভুলতে?
অবিশ্বাস ভাঙে না, ভাবে দুঃখ করেছে সুখকে হ্ত্যা
তাই প্রয়ত মন পায় শান্তির আশ্বাষ ও আহ্বান।

স্বেচ্ছামৃত্যু মানে আত্মঘাত নয়, আত্মার মুক্তি।
সরকারি বিধি, ডাক্তারের সহায়তা আনে অন্তিমতা।
স্নিগ্ধতা আর মৃদু হাসি ভরে আমাকে দেয় শেষ বার্তাঃ
''পাবে না সান্নিধ্য, বলবো না আর কথা, পেয়ো তুমি সুখ, পেয়ো অপার শান্তি।''
বলা হয় না শেষ, আসে মৃত্যু বহনকারী প্রাণনাশক ঔষধ
মিশে যায় রক্তের শিরায়, আনে এক অভিনব দৃশ্য।
শক্ত করে ধরে আমার হাত, দেয় মৃদু চাপ, জানায় শেষ বিদায়,
দেয় ভালবাসাস, বিলায় স্নেহ-মমতা, আর নেয় অন্তিম নিশ্বাস।