(এটি একটি কাল্পনিক কবিতা)

আমাদের রাক্ষস,
শোন তার গুনগান।
রক্তের নেশাতে
করে সদা আনচান।

দুই এক ফোটা নয়,
খাবে সে বোতলে।
তাও বসে সোফাতে,
হাত রেখে হাতলে।

কত মা’র বুক খালি,
এটা সে শোনে না।
লাখে লাখ প্রাণ যাক,
তবু এটা গোনেনা।

চাই চাই প্রতিদিন।
হলে কভু ব্যাত্যয়,
গোলামের মুন্ডুটা,
ছিড়ে খাবে পুরোটাই।

তাই তারা দলবল,
নিয়ে করে থেয় থেয়।
আমাদের শিকারটা
আজ বুঝি নেই নেই।

খালি হাতে যদি যাই,
পড়ে যাবে হৈ চৈ।
আজকের নাস্তাটা,
আন তোরা পই পই।

সেই কবে খেয়েছি,
দিন ক্ষন মনে নাই।
এতকাল পরে তাই,
নাস্তাটা চাই চাই।

গোলামেরা অস্থির,
কি যে করি, কি উপায়?
রক্তের নাস্তা,
আর কতো আনা যায়?

চলো দেখি মানে নাকি,
আমাদের কোন বুঝ।
সম্ভব নয় এটা,
প্রতিদিন, রোজ রোজ।

এই শুনে রেগে মেগে,
সে যে কী কারবার।
শেষমেশ বুঝে শুনে,
খোজে পথ পালাবার।