কবি হারিয়েছে ছন্দের তাল,
ভাবনার দেশে বেধে গোলমাল।
কেমনে টানিবে ইতি!

পেছনের যত স্মৃতি মন্থন,
নাহি কাজ দেয়, ওঠে কম্পন।
ভুলিছে কাব্য নিতি।

শব্দ সাগরে হাবুডুবু খায়,
শুধু সেটা নাই কবি যেটা চায়।
সবকিছু এলোমেলো।

পনের বছর ধরে একাধারে,
কাব্য বুনেছে বেশ থরে থরে।
আজ মাথা ঘুরে গেল।

বোদ্ধা ঠাকুর যত সুর তোলে,
কারো কোন সুর তবু নাহি মেলে।
সবাই করেছে ফেল।

আর দু চরন যদি লেখা যেত!
যত্নে পরম পনেরর মত,
দেখাতো সে ফের খেল।

কেন যেন আজ ভিত নড়বড়ে!
বুঝিতে পারেনি এবারের ঝড়ে,
কেউ রইবে না পাশে।

দীর্ঘ পনের বছর ধরে,
ইচ্ছে ডানায় ঘুরিয়াছে মন ভরে।
আজ মরে ব্যাথা বিষে।

ওঝা ডেকে আনো কি বা নিয়ে চলো।
দাড়াতে না পারি মাথা ঘুরে গেল।
দংশে কি দিছে হায়?

যদি কেউ কোন তদবির পারো,
তাড়াতাড়ি কর, মানা নেই কারো।
প্রাণ যেন যায় যায়।

দীর্ঘ পনের বছর হতে,
জীবনের পাতে দিনে আর রাতে,
জমাট বেধেছে পাপে।

যার যা পাওনা আছে,
বুঝে নাও তার কাছে।
ঠিকঠাক মেপে মেপে।

গেয়েছে সে যত কাব্যিক সুরে,
সবই ছিলো তার ধার দেনা করে।
খালি আপনার থলে ।

যখন যেমন হত আয়োজন,
করিতো সে পরম গুরুকে স্বরণ।
সেই দিতো সব বলে।

ঢুলিবে সে কবে মৃত্যুর কোলে!
ভারি যে আকাশ ক্রোন্দন রোলে!
করে দিলো সব শেষ।

থাকিয়াছে বেশ এজগত ভবে।
দূরিবে সে যবে সকলের তবে
কাটিবে ব্যাথার রেশ।